যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে পরিচালিত অভিযান সীমিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুইন্সবরোর প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কার্টজ। সম্প্রতি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে সময় সংবাদকে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া, নিউইয়র্কে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনে ২০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মেলিন্ডা কার্টজ।
২০৩০ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স’ শহরের উন্নয়নের চিত্র কেমন হবে, সে পরিকল্পনা তুলে ধরতে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নিউইয়র্কের কুইন্সবরোর প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কার্টজ। বৈঠক শেষে সময় সংবাদের প্রশ্নের জবাবে অভিবাসী গ্রেপ্তারে পরিচালিত অভিযান বন্ধে নিউইয়র্ক নগর প্রশাসনের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।
নিউইর্য়কের কুইন্সবরো-এর প্রসিডেন্ট মেলিন্ডা কার্টজ বলেন, ‘মেয়র আমাদের নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অভিবাসী বিরোধী অভিযান পরিচালনায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নগর প্রশাসনের এ নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেবেন না। এটি বাস্তবায়ন হলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে নিরাপদবোধ করবেন।
এ সময় মেলিন্ডা কাটর্জ বলেন, বাংলাদেশর ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে ইতোমধ্যে ২০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভাষা শহীদদের সম্মানে এ শহীদ মিনার স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একটি নকশা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য এখন স্থান নির্বাচনের কাজ চলছে।’
এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিদ্বেষমূলক সন্ত্রাস নির্মূলে নগর প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে জানান কুইন্সবরোর প্রেসিডেন্ট। এদিন কুইন্সকে আরো উন্নত করতে শিক্ষা, বিনোদন, আবাসন এবং জরুরি সেবাখাতে দেয়া অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ ঘোষণার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।