কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুকে ৩-১ গোলে হারানোর পর কলম্বিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র, এরপর পেরুর কাছে ১-০ গোলে হার, আফ্রিকার দুই দেশ সেনেগাল এবং নাইজেরিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র, সর্বশেষ আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হারের পর অবশেষে জয়ে দেখা পেলো সেলেসাওরা।
আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটিতে গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। এমন ম্যাচে শুরু থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ানদের ওপর জ্বলে উঠতে দেখা যায় নেইমারহীন ব্রাজিলকে।
ম্যাচের ৯ম মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। রেনান লোদি এবং কৌতিনহোর দুর্দান্ত পাসিংয়ে বল পেয়ে যান পাকুয়েতা এবং অসাধারণ এক হেডে তিনি বল জড়ান দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
ফিলিপ কৌতিনহো দীর্ঘ সময় পর যেন তিতের স্টার্টিং লাইনআপে জায়গা পেলেন। টানা সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে নিজেকে প্রমাণ করার একটা তাগিদ ছিল কৌতিনহোর। অবশেষে সেটা করে দেখাতে পারলেন তিনি। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে অন্তত ২০ মিটার দুর থেকে দারুণ এক ফ্রি-কিকে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান তিনি।
২০১৪ সালে নেইমার কলম্বিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ব্রাজিলের হয়ে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন। এর ৫ বছর পর ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন কৌতিনহো। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে তৃতীয়বার বল জড়ায় ব্রাজিল। এবার গোলদাতা দানিলো। এটা ছিল ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
আগামী বছর মার্চে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অভিযান শুরুর আগে ব্রাজিলের এই ম্যাচটাই ছিল সর্বশেষ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ।