Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sabbirএবারের বিপিএলটা একদমই ভালো কাটছিল না সাব্বির রহমানের। সর্বশেষ ম্যাচে তো অফফর্মের জন্য একাদশ থেকেই সরিয়ে দেয়া হয়। এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে সাব্বির ফিরলেন রাজসিক ভঙ্গিমায়। খেললেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না।

মিরপুরে সাব্বিরের ৩৯ বলে ৬২ রানের ঝড়ের পরও খুলনা টাইগার্সের কাছে ৩৪ রানে হেরে গেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে মুশফিকুর রহীমের খুলনা। ১১ ম্যাচে কুমিল্লার পয়েন্ট ১০।

chardike-ad

লক্ষ্য ছিল ১৮০ রানের। একটা সময় সাব্বিরের ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কুমিল্লা। ১৫তম ওভারে ৪ উইকেটে ছিল ১৩০ রান। শেষ ৩১ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখে ৫০ রান খুব কঠিন কিছু ছিল না।

কিন্তু ঝড় তোলা সাব্বির মোহাম্মদ আমিরের শিকার হলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা। ৩৯ বলে গড়া সাব্বিরের ৬২ রানের ইনিংসটি ছিল ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সাজানো।

সাব্বির ফেরার পর ৭ বলের ব্যবধানে ইয়াসির আলিও সাজঘরের পথ ধরেন। ১৫ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় তিনি করেন ২৭ রান। এরপর ডেভিড উইজ (১০), আবু হায়দাররা (০) তেমন কিছু করতে পারেননি।

এর আগে টপ অর্ডারে ব্যর্থতার পরিচয় দেন স্টিয়ান ফন জিল (১৩ বলে ১২), সৌম্য সরকার (১৭ বলে ২২) আর অধিনায়ক ডেভিড মালানও (১)। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও দলকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ১০ বল বাকি থাকতে ১৪৫ রানেই থামে কুমিল্লার ইনিংস।

খুলনার পক্ষে বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছেন রবি ফ্রাইলিংক। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তিনি নেন ৫টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার শহীদুল ইসলাম আর মোহাম্মদ আমিরের।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় খুলনা টাইগার্স। যথারীতি দলকে এ সংগ্রহ এনে দেয়ার পেছনে বড় অবদান রাখেন রাইলি রুশো ও অধিনায়ক মুশফিক।

কুমিল্লা অধিনায়ক ডেভিড মালানের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ইতিবাচক করে খুলনা। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে ৯.১ ওভারে যোগ করেন ৭১ রান। তাদের জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে। সৌম্য সরকারের বোলিংয়ে সানজামুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৮ রান করেন তিনি।

তবে প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত ব্যাটিং করতে পারেননি মিরাজ। শুরু থেকেই স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হওয়া মিরাজ আউট হন ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। সরাসরি বোল্ড করে দিয়ে মিরাজের ৩৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান ডেভিড উইজ। ইনিংসের বাকি গল্পটা লিখেছেন রুশো ও মুশফিক।

দুজনের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ বলে ৮৫ রান যোগ করেছে খুলনা। যার সিংহভাগ রানই এসেছে রুশোর ব্যাট থেকে। মাত্র ২৮ বলে পূরণ করেন নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি। যা কি না চলতি আসরে তার চতুর্থ ফিফটি। মাইলফলকে পৌঁছে ফের ফিফার মতো করে উদযাপন করেন এ দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।

ব্যক্তিগত ফিফটির পরেও থামেনি রুশোর ব্যাট। খেলেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। অপরাজিত থেকেছেন ৩৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৭১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে। এ ইনিংসের পর চলতি আসরে তার মোট সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১১ রানে। যা চলতি আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রুশোকে যথাযথ সঙ্গ দিয়ে মুশফিকও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। খুলনা অধিনায়ক ২ চারের মারে ১৭ বলে করেন ২৪ রান।