Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা একাদশ

সিউল, ৩০ মে ২০১৪:

দেখতে দেখতে ৯০ বছর হয়ে গেল বিশ্বকাপ ফুটবলের বয়স। আগামী মাসেই ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে বসতে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের ২০তম আসর। যেখানে পরবর্তী চার বছরের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দখলে রাখার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে বিশ্ব ফুটবলের সেরা ৩২টি দল।

chardike-ad

বিগত দিনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের আসরে অংশগ্রহনকারী ফুটবলারদের মধ্য থেকে সর্বকালের সেরা একটি একাদশ গঠন ইন্টারনেট অবলম্বনে আজ পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হল।

imagesলেভ ইয়াসিন: সৌভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন এই তারকা। যার মধ্যে ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে দুইবার তিনি দলকে পৌছে দিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। আর ১৯৬৬ সলে তার দল বিশ্বকাপে লাভ করে চতুর্থ স্থান। তিনি হলেন ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র গোলরক্ষক যিনি ইউরোপের বর্ষ সেরা ফুটবলারের খেতাব লাভ করেছেন।

কার্লোস আলবার্তো: ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে সেই ‘রকেট শটের’ জন্য তিনি বেশি পরিচিত। ফুল ব্যাকের ভুমিকায় এই ব্রাজিলীয় ছিলেন বেশী কার্যকর। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে হয়তো অনেক দর্শনীয় ঘটনা ঘটেছে, তবে তার পারফর্মেন্স সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। যা যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসা খেলায় কালেভদ্রে দেখা যায়। যে কারণে ফুল ব্যাক হিসেবে আধুনিক যুগের এই বিশ্বকাপের একাদশেও নিশ্চিন্তভাবে স্থান পেতে পারে তার নাম।

পাওলো মালদিনি: ইতালির হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন সুদর্শন ফুটবলার মালদিনি। তিনি লেফট ব্যাক ও সেন্টার ব্যাক উভয় স্থানেই খেলতেন সাবলিল ভাবে। ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেয়া এই ফুটবলার অবশ্য ২০০২ সালে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন শিরোপা ছাড়াই। তারপরও সর্বকালের সেরা একাদশের রক্ষণভাগে তার স্থানটি হবে সবচেয়ে নিরাপদ।
ববি মুর: সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে ফুটবল কিংবদন্তী পেলের চেয়ে কোন অংশেই কম নন এই ইংলিশ অধিনায়ক। ওয়েস্টহ্যামের দারুণ অনুগত মুর ১৯৬৬ সালে নিজেদের মাটিতে শিরোপা জয়ে অধিনায়ক হিসেবে যে ভুমিকা রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বেকেন বাওয়ার: জার্মান ফুটবলের নিখাদ এই কিংবদন্তী ফুটবলার তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিলেও ক্যারিয়ারের শেষ আসরটিতে দলকে পাইয়ে দিয়েছেন শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে ১০০টি ম্যাচে অংশ নেয়া এই নন্দিত ফুটবল তারকা ১৯৭৪ সালে হল্যান্ডেকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেন।

জন ক্রুইফ : হল্যান্ডের এই কিংবদন্তী প্লে মেকার একগুচ্ছ চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স দিয়ে ১৯৭৪ সালে ফাইনালে পৌঁছে দেন ডাচদের। তবে ফাইনালে জার্মানির কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে যায় তার দল। জন ক্রুইফ তিনবার জিতেছেন ইউরোপের বর্ষসেরার খেতাব।

গারিঞ্চা : বল নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যবার ক্ষমতার জন্য ‘লিটল বার্ড’ খেতাব পাওয়া ব্রাজিলের এই তারকা জাতীয় দলকে দুইবার শিরোপা পাইয়ে দিয়েছেন। ১০৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের এই নায়ক দ্বিতীয় আসরে অর্থাৎ ১৯৬২ সালে চার গোল করেন। ডান প্রান্ত দিয়ে অসাধারণ নৈপণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও লাভ করেন তিনি।

জিনেদিন জিদান : ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ শিরোপা পাইয়ে দেয়ার প্রধান নায়ক জিদান। যিনি ফাইনালে একাই দুই গোল করে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শিরোপা অর্জন করেছিলেণ। এ জন্য জিদান বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও তার ক্যারিয়ারের সমাপনি টানতে হয়েছে দারুণ বেদনা নিয়ে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইতালীয় তারকা মার্কো মাতেরাজ্জিকে মাথা দিয়ে ‘ঢুস’ মারার দায়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জিদানকে।

লিওনেল মেসি : ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসুরির স্বীকৃতি পাওয়া আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটে ২০০৬ সালে। তবে ক্লাব ফুটবলে বিশ্ব কাপানো এই তারকা কখনোই জাতীয় দলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পরেননি। প্রথম আসরে গ্র“প পর্বের গন্ডি পেরুতে না পারা দলটি ২০১০ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় জার্মানীর কাছে পরাজিত হয়ে।

দিয়াগো ম্যারাডোনা : ম্যারাডোনাকে পছন্দ করুন কিংবা না করুন, বিশ্বের এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি আর্জেন্টাইন এই ফুটবল কিংবদন্তীকে ফুটবলের ‘মানষপুত্র’ বলতে অস্বীকৃতি জানাবেন। চারবার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নেয়া ম্যারাডোনা দলকে একক প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ শিরোপা পাইয়ে দিয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে। ইংল্যান্ডে ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে তার একজোড়া নজরকাড়া গোল আর্জেন্টিনার শিরোপা জয় নিশ্চিত করে।

পেলে: ১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যোগ দেয়া পেলে কয়েকগুচ্ছ দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দিয়ে সম্মোহিত করে ফেলে বিশ্ববাসীকে। ১৯৭০ সালে ব্রাজিলকে শিরোপা জিতিয়ে দেন তিনি। যুগ যুগ ধরে ফুটবলের কিংবদন্তী হিসেবে শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন ‘কালো মানিক’ খ্যাত পেলে।