Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শাহজালাল বিমানবন্দরের সার্ভিসে সন্তুষ্ট যাত্রীরা

 

chardike-ad

ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের চিত্র পুরোটাই বদলে গেছে। আগে ফ্লাইট থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এরপর লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। কিন্তু এখন ফ্লাইট অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে লাগেজ বেল্টে পৌঁছে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি হাবিবুর রহমান প্রায় ২ বছর পর প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেরি হওয়া ও নানা বিড়ম্বনার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তবে এবার তিনি বেশ অবাক হয়েছেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, “আমি অল্প সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছি।”

সৌদি আরব ফেরত আরেক প্রবাসী আতাউর রহমানও একই অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন শেষ করে দেখি আমার লাগেজ বেল্টে আছে। আগে আমাদের এর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। তবে এবার লাগেজ পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি।”

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বা তার কম সময়ে যাত্রীরা লাগেজ পাচ্ছেন। কম সময়ে ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয়েছে প্রায় ৮৮%। লাগেজ ডেলিভারির সময় আরও কমিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, লাগেজ চুরি ও কাটা লাগেজ বা লাগেজ থেকে মালামাল চুরি অনেকাংশেই কমে গেছে। বর্তমানে এটি শোনা যায় না বললেই চলে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা করেছি, ফলে লাগেজ কাটা বন্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানান, আগে ফ্লাইট থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এরপর লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন ফ্লাইট অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। বেল্টে যাওয়ার আগেই লাগেজ পৌঁছে যাচ্ছে।

চেয়ারম্যান বলেন, “ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ও সময় বেশি লাগা দীর্ঘ দিনের সমস্যা ছিল। এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছি। ইমিগ্রেশনে আগে ৩ শিফট ছিল, এখন ৪ শিফট চালু করেছি। ফলে যাত্রী সেবা বেড়েছে।”

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সেবা বাড়ানো হয়েছে। ফলে যাত্রীদের অভিযোগও কমেছে।

লাগেজ লেফট বিহাইন্ড সমস্যা উন্নতিকরণ, যাত্রীদের ট্রলি সমস্যা বড় সমস্যা সমাধান, হেল্প ডেস্ক ও যাত্রীদের তথ্য সেবা প্রদান সহজীকরণ, ২৪ ঘণ্টা হট লাইন ও নতুন ওয়েব পোর্টাল, ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু, ফ্রি টেলিফোন বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি, শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

আগে লাগেজ লেফট বিহাইন্ডে প্রচুর অভিযোগ ছিল। এখন কমে গেছে। বর্তমানে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যেসব এয়ারলাইন্সের অতিরিক্ত লেফট বিহাইন্ড হয় তাদের আগমনি সিটের ক্যাপাসিটি কমিয়ে এনে এবং সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সমুহকে সার্বিক সহযোগিতায় লেফট বিহাইন্ড সমস্যা অনেকটা উন্নতি করা হচ্ছে। বর্তমানে ৯৯.৮০% লাগেজ যাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।