Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্রাজিল বিশ্বকাপে যখন নিষিদ্ধ ব্রাজিলীয় খাবার

২৫ জুন ২০১৪:

অর্থনৈতিক নানা সীমাবদ্ধতা সামনে রেখে ব্রাজিল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সোচ্চার একদল প্রতিবাদকারী। প্রথম থেকেই অর্থনৈতিক অপচয়, অতিরিক্ত খরচ ও জনগণের টাকার তসরুপ ফিফার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে ব্রাজিলের বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠী।

chardike-ad

downloadসম্প্রতি বিশ্বকাপ চলাকালীন কিছু অনিয়ম তাদের প্রতিবাদের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান খাবারকে গুরুত্ব না দিয়ে বহুজাতিক বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ব্রাজিল সরকার জনগণ ও দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে বেইমানি করেছে— এমন অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি।

একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অজ্ঞাত কারণে ব্রাজিলের যে স্টেডিয়ামগুলোয় খেলা হচ্ছে, তার দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো স্থানীয় রেস্টুরেন্ট, এমনকি রাস্তার পাশের দোকানে খাবার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

বলতে গেলে ফিফা অনেক বড় স্পন্সরের সহায়তায় এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এক্ষেত্রে ব্রাজিলের ঐতিহ্য ও স্থানীয় স্বার্থ দেখা থেকে তাদের স্বার্থই ফিফার কাছে বড় হয়ে উঠেছে। বলতে গেলে ম্যাকডোনাল্ডসকে খুশি করতে গিয়েই ফিফা ব্রাজিলের স্থানীয় খাবার বিক্রেতাদের নিষিদ্ধ করেছে, যেখানে ব্রাজিল সরকারের রায় রয়েছে বলে প্রতিবাদ এখন তুঙ্গে।

রাস্তার পাশের অনেক জনপ্রিয় ব্রাজিলিয়ান খাবার হচ্ছে অ্যাকাজে। ‘বাহিয়ার’ বিখ্যাত অনেক সবজির সঙ্গে চিংড়ি আর মটরশুটি মিশিয়ে তৈরি সুস্বাদু এ খাবার ব্রাজিলের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব মানুষের মনেও ঠাঁই নিয়েছে অনেক আগে।

কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে কয়েকটি আন্তর্জাতিক খাদ্য প্রস্তুত ও বিপণন সংস্থা স্পন্সর করায় ফিফার কাছে তাদের স্বার্থ অনেক উচ্চে স্থান পেয়েছে। ফিফার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ব্রাজিল সরকারের মেরুদণ্ডহীন নীতি অ্যাকাজের থেকে হামবার্গারকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে তিনদিক থেকে ক্ষতির শিকার হয়েছে ব্রাজিল।

প্রথমত. রাস্তার পাশের অনেক খাবার বিক্রেতা এবারের বিশ্বকাপ সামনে রেখে অ্যাকাজের নিত্যনতুন সব আয়োজন নিয়ে মনে মনে প্রস্তুত হয়েছিলেন। কিন্তু ফিফার সিদ্ধান্তে ব্রাজিল সরকারের সায় তাদের হতাশ করেছে।

অন্যদিকে রাস্তার পাশে সস্তা হোটেলের সুস্বাদু খাবারের বদলে নামিদামি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের খাবার খেতে গিয়ে খেলা দেখতে আশা দর্শকদেরও গুনতে হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। শুধু অ্যাকাজেই নয়, বিভিন্ন ধরনের সবজি বড়া, চিংড়ির তৈরি খাবার, মিষ্টান্ন ও সুমিষ্ট ডাবের পানি থেকেও আগত দর্শকদের বঞ্চিত করেছে ব্রাজিল সরকার ও ফিফা। এ সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নতুন করে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে ব্রাজিলজুড়ে।