বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করা রংপুর রাইডার্স ছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। কিন্তু রাজশাহীর বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট নিতে ব্যর্থ হওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এই সুযোগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল রংপুরকে ছুঁয়ে ফেলেছে। ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে সমান ১৬ পয়েন্ট থাকলেও নেটরান রেটে বরিশালের অবস্থান এখন দুই নম্বরে। রংপুর শীর্ষেই আছে। সোমবার খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। আগে ব্যাটিং করে খুলনা ১৮৭ রানের সংগ্রহ করে। জবাবে ডেভিড মালানের হাফসেঞ্চুরিতে ৫ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া খুলনা নাঈমের হাফসেঞ্চুরির পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ক্যামিও ইনিংসে ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। ১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই তাওহীদ হৃদয়কে (১১) হারায় বরিশাল। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড মালান ও তামিম ইকবাল মিলে ৫৬ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ২৭ রান করে তামিম আউট হলে ভাঙে দারুণ এই জুটি। এরপর মুশফিকের সঙ্গে আরও ১৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন মালান। খেলেছেন ৩৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস। এরপর ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। কিন্তু মুশফিকের ভুলে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মাহমুদউল্লাহর ইনিংস। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রান আউটে ফিরেছেন। ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বলেই অবশ্য আবু হায়দারের শিকার হন মুশফিকুর রহিমও (২৪)। বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন ফাহিম আশরাফ (১৮) ও মোহাম্মদ নবী (১৫)। দু’জন মিলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আফিফ হোসেন ও সালমান ইরশাদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া খুলনার হয়ে দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখ মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৭ রানে মিরাজ আউট হলে ভাঙে শুরুর জুটি। এরপর অ্যালেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে নাঈম আরও ৫২ রানের জুটি গড়েন। ২৭ বলে ৫১ রান করে আউট হন নাঈম। তার পর অবশ্য খুলনার কেউ খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। তবে আফিফ হোসেনের ৩২ এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১২ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসে খুলনা ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে ফাহিম আশরাফ দুটি এবং মোহাম্মদ নবী, এবাদত হোসেন ও জেমস ফুলার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।