চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৫টি উইকেট। জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয় তিনবার জীবন না পেলে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়াতো কিনা সন্দেহ। দুজনেই জীবন পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগান। ৬ষ্ঠ উইকেটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রেকর্ড ১৫৪ রানের জুটি গড়েছেন জাকের ও হৃদয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে ষষ্ঠ উইকেটে এটি বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি এবং ভারতের বিপক্ষেও তাদের যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ। দুজনের এই জুটির ওপর ভর করে ভারতকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে টেনে তোলেন জাকের ও হৃদয়। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৬ষ্ঠ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প মিলে ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন। এতদিন পর্যন্ত ওটাই ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। মোহালিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। এরপর প্রতিরোধ গড়েন বাউচার ও কেম্প।
নিজের প্রথম বলেই জীবন পেয়েছিলেন জাকের। অক্ষর প্যাটেলের বলে তার ক্যাচ গিয়েছিল স্লিপে। কিন্তু রোহিত ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হলে জীবন পান জাকের। এরপর আরও একবার জীবন পেয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন বেশ ভালো করেই। কুলদীপ যাদবের বলে দুই রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জাকের। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন সামলে হৃদয়ও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত দেড়শ ছাড়ানো রানের জুটি গড়ে বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে মোহাম্মদ শামির বলে আউট হন জাকের। ১১৪ বলে ৪ চারে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। জাকেরের বিদায়ে থেমে যায় দুইজনের রেকর্ড রানের জুটি।
অল্প রানে বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও জাকের-হৃদয়ের ব্যাট প্রতিরোধ গড়ে। জাকের সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও হৃদয় পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। জাকেরের হাফ সেঞ্চুরি ও হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৮ রান। যদিও দুবাইয়ের উইকেটে এই সংগ্রহটা খুব আহামরি কিছু নয়। ভারতের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলাররা কতখানি সাফল্য পায় সেটিই দেখার।