ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

 

chardike-ad

ইংল্যান্ডকে ১৭৯ রানে আটকে দিয়ে রাসি ফন ডার ডুসেন ও আইনরিখ ক্লাসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে সহজে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে তারা। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নও হয়েছে আফ্রিকানরা।

ট্রিস্টান স্টাবস শুরুতেই জোফরা আর্চারের শিকার। রায়ান রিকেলটনও ইংলিশ পেসারের কাছে উইকেট হারান। ৪৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ডুসেন ও ক্লাসেনের জুটিতে সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। ১২২ বলে ১২৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

লক্ষ্য থেকে ৬ রান দূরে থাকতে ক্লাসেন আউট হন। ৫৬ বলে ১১ চারে ৬৪ রান করেন তিনি। টানা পঞ্চম ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি করলেন এই ব্যাটার। ৮৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন ডুসেন। রিকেলটন ২৭ রান করেন। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভিড মিলার।

১২৫ বল থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে তারা ১৮১ রান করে। ইংল্যান্ড গ্রুপের সব ম্যাচ হেরে বিদায় নিলো।

উইয়ান মুল্ডার ও মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৭৯ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসরে ইংলিশদের সর্বনিম্ন রানে থামিয়ে লক্ষ্যে নামার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রোটিয়ারা।

ইয়ানসেন পাওয়ার প্লেতেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম তিন ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান। ৩৭ রানের মধ্যে ফিলিপ সল্ট (৮), জেমি স্মিথ (০) ও বেন ডাকেট (২৪) আউট হন।

জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ৬২ রানের জুটিতে ওই ধাক্কা সামলে নেন। ব্রুক (১৯) কেশভ মহারাজের শিকার হলে এই জুটি ভাঙে।

রুট (৩৭) উইয়ান মুল্ডারের শিকার হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে আরও দুই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১২৯ রানে সাত উইকেট পড়ে তাদের।

জোফরা আর্চার ও জস বাটলার ছোট প্রতিরোধ গড়েন। ৪২ রান যোগ করে দুজনেই অল্প সময়ের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আর্চার ২৫ রান করেন। অধিনায়কত্ব ছাড়তে যাওয়া বাটলার ২১ রান করে ওয়ানডেতে লুঙ্গি এনগিডির শততম শিকার হন। আদিল রশিদকে ফিরিয়ে মুল্ডার ইংল্যান্ডকে অলআউট করেন।

৩৮.২ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। মুল্ডার ও ইয়ানসেন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি পান মহারাজ।