জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলমান সংশয় দূর করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের সময় চেয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছি। তার সঙ্গে দেখা করার পর এই (নির্বাচন) বিষয়ে কথা বলব।’
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সরকারকে চাপ দিতে বিএনপি কী ধরনের কর্মপন্থা নিচ্ছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপনের জোর অনুরোধ জানাবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাবো, যেন তিনি সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তুলে ধরেন।’
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন ইস্যু সমাধানের জন্য নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফেরাতে একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ এখন অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানাবেন যেন নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হয়। কারণ এই সময় অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য যথেষ্ট সুযোগ ও সময় তৈরি করে দেয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এর আগেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, এবং তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে যে তারা জুনের মধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে।’
তিনি আরও জানান, এর আগেও প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তার সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন দল ও পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারণে নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাবো।’
এ সময় তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রের ভেতরে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে বিএনপি কিছু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানকে ১৫তম সংশোধনীর আগের মূল রূপে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা চায় সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হোক। তিনি যোগ করেন, ‘তবে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। এ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।’
