পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

chardike-ad

আজ (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

এর আগে, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত রোববার পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১০ এপ্রিল আরেক মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

আজ যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেখানে অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

এছাড়া রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য শফি উল হক রয়েছেন।

দুদক জানায়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ পাওয়া প্লটের দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর অনুসন্ধান শুরু করা হয়। পরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের ৭ সদস্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন অভিযুক্তরা। এ ছয় মামলায় গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক, যা পরবর্তীতে আদালতে জমা দেওয়া হয়।