Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এখনো লাশের আশায় জিনদোতে বসবাস দশ পরিবারের

‘হলুদ ফিতেও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে যে কড়া হলুদের ফিতে ছিল গত ১০০দিনে সেটার রং ক্রমেই পরিবর্তন হয়ে কালচে আকার ধারণ করছে। কিন্তু আমাদের সেই দিনের ব্যথা কোনভাবেই কমছেনা ’ বলছিলেন কান্নাভেজা কন্ঠে ৫১ বছর বয়সী হিয় সং হোয়ান।

‘আমার মেয়েকে ছাড়া কিভাবে থাকব এখনো বুঝতে পারছিনা। আমার চোখের সামনে প্রতিনিয়তই আমার মেয়ের চেহারা ভাসছে। আমার মেয়ে বরাবরের মতোই জিজ্ঞেস করছে বাবা তুমি কি করছো?’

chardike-ad

হোয়ানের ১৭ বছর বয়সী মেয়েও ১৪ এপ্রিলের মর্মান্তিক ফেরি দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। অন্য সবার মত দানউওন হাইস্কুলের ১১ গ্রেডের ছাত্রী দা ইয়ুন বন্ধুদের সাথে ঐ ফেরিতে জেজু দ্বীপে যাচ্ছিল।

[¼¼¿ùÈ£ 100ÀÏ]Àá½Ã ÈÞ½Äদুর্ঘটনার পর এখনো যে দশজনের লাশ পাওয়া যায়নি দা ইয়ুন তার মধ্যে একজন। হোয়ান এখনো মেয়ের পথ চেয়ে জিনদোতে উদ্ধার কার্যক্রমে আছেন। কখনো বাড়িতে ফেরার চিন্তা করেননি। এখনো তিনি আশায় বুক বেঁধে আছেন তার মেয়ের লাশ পাবেন।

কোরিয়ার অন্যতম ভয়াবহ এই দূর্ঘটনার পরপরই হোয়ান এসেছিলেন জিনদোতে। একদিনের জন্যও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া বাদ দেননি। প্রতিদিন উদ্ধারকারীদের জন্য খাবার নিয়ে দেন। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন মেয়ে ডাকছেন।

আজ সেউলহো ট্র্যাজেডির ১০০তম দিন। এখনো ১০জনের লাশ উদ্ধার করা যায়নি। যার মধ্যে ৫জন ছাত্রছাত্রী, ২জন শিক্ষক এবং অন্য ৩জন সাধারণ যাত্রী। এই দশজনের পরিবার হোয়ানের মত এখনো অপেক্ষা করছেন জিনদোতে। তাদের স্বজনের লাশের আশায়। জিনদো জিমনেশিয়ামই এখন তাদের ঘরবাড়ি। এদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অন্য একজন সন্তান হারা অভিভাবক ইউ বলছিলেন স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি কেয়ার করেন না। তিনি তার মেয়েকে চান।