
বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হলে কূটনৈতিক আলোচনার পথে ফিরতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেছেন, “আগ্রাসন বন্ধ হলেই ইরান এ বিষয়ে বিবেচনা করবে।”
ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কূটনৈতিক বৈঠকে বসেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। খবর বিবিসির।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজা ক্যালাস বলেন, “আঞ্চলিক উত্তেজনা কারো জন্যই লাভজনক নয়, তাই আমাদের আলোচনার সুযোগ খোলা রাখা উচিত।”
তিনি জানান, উভয় পক্ষই পারমাণবিকসহ বৃহত্তর বিষয় নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে। ইরানের সাথে “চলমান আলোচনা” অব্যাহত রাখতে “আগ্রহী” বলে জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও।
আল জাজিরার খবরে জানানো হয়, বৈঠকে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান অংশ নেন।
আব্বাস আরাঘচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগ্রাসন বন্ধ হলে আবারও কূটনৈতিক আলোচনার পথে ফিরতে প্রস্তুত ইরান। তবে এই আগ্রাসনের জন্য দখলদারদের জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এর ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইরান আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।’
আরাঘচি আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে কোনো আলোচনা করা যাবে না।’