বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ২৬ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার


reserve

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। এই বাড়তি রেমিট্যান্সের কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চাপ কমে এসেছে এবং রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। গত ১০ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেনি। এরই মধ্যে বাজেট সহায়তা ও উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ এসেছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

জানা গেছে, আইএমএফ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় আরও ৯০ কোটি ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি, জাপান ও ওপেক ফান্ড থেকে আরও দেড় শ কোটি ডলার আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জুন মাসের মধ্যেই রিজার্ভে যুক্ত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ধারণা, এসব অর্থ যোগ হলে চলতি মাস শেষে মোট রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিজার্ভে যে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে তা মূলত বৈদেশিক ঋণের ফলে হলেও এই ঋণগুলো দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদের। তাই স্বল্পমেয়াদে এর চাপ রিজার্ভের ওপর পড়বে না। বরং এসব অর্থ দিয়ে ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার এবং বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি ও রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রবাসী আয়ের দিক থেকেও ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার—প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। রপ্তানি আয়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকলেও আমদানি বেড়েছে মাত্র ৫ শতাংশ, ফলে সামগ্রিকভাবে রিজার্ভ বাড়ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে, রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম-৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।