জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শুধুমাত্র একটা দলের বদলে আরেকটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ফ্যাসিবাদী কাঠামোর অবসান ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও নতুন রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে মাঠে নেমেছি এবং অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য চিরতরে দূর করতে চাই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের বিষয়ে এখনো তালবাহানা চলছে। বলা হচ্ছে, এগুলোর কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে না। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন বা অংশ নিয়েছেন, তাদের মর্যাদা, স্বীকৃতি ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা ঘোষণাপত্র ও সংবিধানেই থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের মানুষ ভেবেছিল পরিবর্তন আসবে, কিন্তু সেই কাঠামোগত পরিবর্তন আজও হয়নি। আগের মতোই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সিন্ডিকেটগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।”
নাহিদ ইসলাম জানান, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি গণজমায়েতের আয়োজন করা হবে। সেখানে জনগণের দাবি ও আন্দোলনের লক্ষ্য আবারও স্পষ্ট করে তোলা হবে। “যেমনটা আমরা ২০২৪ সালে দেখিয়েছি, তেমনই আরেকটি সফল গণআন্দোলন হবে ইনশাআল্লাহ,” বলেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মনিম, আসাদুল্লাহ গালিব, আকিব উদ্দিন, সাদিয়া ফারজানা দিনা, তাসনিম জারা, শামান্ত শারমিন প্রমুখ।
পথসভা শুরুর আগে এনসিপি নেতারা স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা, আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সান্ত্বনা জানান। দলটির নেতারা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গিয়ে সমাবেশ করে জুলাই সনদের যৌক্তিকতা তুলে ধরছেন।
