আসন্ন এশিয়ান গেমসে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় ফুটবল দল ও বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দলকে। গতকাল অনুষ্ঠিত ফুটবলের ড্রতে বাংলাদেশকে ‘বি’ গ্রুপে খেলতে হবে শক্তিশালী উজবেকিস্তান, হংকং ও সাফজয়ী আফগানিস্তানের বিপক্ষে। একইভাবে পুরুষ কাবাডিতে গ্রুপ পর্বেই কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করে আছে বাংলাদেশের জন্য। গ্রুপ পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের স্বর্ণজয়ী ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড।
২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমস ফুটবলের দুই প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান ও হংকং এবারো বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে একই গ্রুপে। দুই প্রতিপক্ষের কাছেই বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল যথাক্রমে ০-৩ ও ১-৪ গোলে। গতবারের আরেক প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জায়গায় এবার যুক্ত হয়েছে গত বছর কাঠমান্ডু সাফ শিরোপাজয়ী আফগানিস্তান। সব মিলিয়ে আরেকবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কা নিয়েই দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যদিও বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ রেনে কোস্টার আশাবাদী দ্বিতীয় পর্বে ওঠা নিয়ে, ‘এটা ঠিক, গত আসরে হংকং ও উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল আমাদের। তবে সেটা চার বছর আগে, এখন প্রেক্ষাপট পাল্টেছে। আশা করছি, আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে সেরা ১৬তে যাওয়া সম্ভব।’
এশিয়ান গেমসের অতীত রেকর্ডও ফুটবল দলকে খুব বেশি আশাবাদী করছে না। মাত্র দুই ম্যাচে জয়ের রেকর্ড নিয়ে উজবেকিস্তান, হংকং ও আফগানদের পেছনে ফেলার স্বপ্ন দেখাটা অনেকের কাছেই মনে হতে পারে বাড়াবাড়ি। ‘এত দিন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন প্রতিপক্ষ বিচার-বিশ্লেষণ করে অনুশীলন পরিকল্পনা সাজাব।’
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে হংকংয়ের সঙ্গে। তিনদিন বাদে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা খেলবে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচটি সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ আফগানদের সঙ্গে। এবারের আসরে ২৯টি দল আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল স্থান পাবে সেরা ১৬তে।
ওদিকে কাবাডির গ্রুপিং হতাশা নামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি শিবিরে। দলটির কোচ আবদুল জলিল দাবি করছেন, গ্রুপিংটা সঠিকভাবে হয়নি, ‘সঠিক ফরম্যাটে হলে গ্রুপ পর্বে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে এড়াতে পারতাম। এখন যেমনটা হয়েছে, তাতে আমি খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’
পুরুষ দল নিয়ে আশাবাদী হওয়া না গেলেও গ্রুপিংয়ের পর গত আসরে ব্রোঞ্জজয়ী মহিলা দলের কোচ সুবিমল চন্দ্র দাস আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সেমিফাইনালে যাওয়ার। গ্রুপ পর্বে তাদেরও মোকাবেলা করতে হচ্ছে গত আসরের স্বর্ণজয়ী ভারত ও স্বাগিতক দক্ষিণ কোরিয়ার, ‘যেহেতু দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে দুই গ্রুপ থেকে, সেহেতু কোরিয়াকে হারানোর আশা করাই যায়। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ব্রোঞ্জ ধরে রাখা, সেটা নিশ্চিত হলে পরের লক্ষ্য নির্ধারণ করব।’ বণিকবার্তা।