Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাকিবের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। অনুশীলনের জন্য সাকিব আল হাসানকেও আসতে হয় সেখানে। প্রাকটিসের আগে বা পরে তাকে প্রায় দেখা যায় বিসিবি অফিসে-কখনও প্রয়োজনে, কখনও আড্ডা দিতে। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর থেকে সাকিবের রুটিনটা প্রায় একই। গতকালও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে দেখা করে গেছেন বাঁ-হাতি এ অলরাউন্ডার। আর বেশিদিন হয়তো তাকে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে হবে না। সব ঠিক থাকলে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের আজকের সভায় তার ওপর থেকে আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে; আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমোদন পেতে পারেন তিনি।

sakib-new_64238 পরিচালকদের একটি অংশ সাকিবকে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেয়ার পক্ষে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার অনুমোদন দেয়া হবে তাকে। কিন্তু দেশে বা বিদেশে লিগ খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হতে পারে তার। সূত্র জানায়, সাকিবের কর্মকান্ড যাদের পছন্দ নয়, তারা কঠোর অবস্থান নিতে পারেন। কারণ অনেক সময় তাদের সঙ্গে সাকিবের মতবিরোধ হয়েছে। গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্সের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলের সঙ্গে তার সখ্যকেও ভালো চোখে দেখেন না অনেকে। এ নিয়ে একজন পরিচালক সাকিব-তামিম সম্পর্কে খেলার অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন গতকাল। বাদল বিসিবি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন। কখনও কখনও অনেক সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেন বলে জানান এক পরিচালক। সুতরাং গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্সে সাকিবের খেলার সিদ্ধান্তও কর্মকর্তাদের ক্ষোভের কারণ। তবে সাকিবের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয় বলে জানান বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি জানান, সভায় পরিচালকদের মতামত নেয়ার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত দেবেন। সেক্ষেত্রে লিগে খেলতে না দিলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে দেয়া হতে পারে সাকিবকে। কিন্তু বিদেশে লিগ খেলে সাকিব যাতে আর্থিকভাবে লাভবান না হতে পারেন, সে ব্যাপারে সোচ্চার কোনো কোনো পরিচালক।

chardike-ad

বিসিবির বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অনেকবার শৃঙ্খলা ভেঙেছেন সাকিব। শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য ফেব্রুয়ারি-মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল তাকে। জুনে অনাপত্তিপত্র না নিয়ে ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে গেলে এবং জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে বিরোধে জড়ালে ৭ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের সভায় সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাত মাস নিষিদ্ধ এবং বিদেশের লিগে দেড় বছর অনাপত্তিপত্র না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), সিপিএল এবং অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে খেলার কথা ছিল তার। নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রয়েছেন সাকিব। শাস্তি পুনর্মূল্যায়নের জন্য সভাপতি পাপনের কাছে ২০ জুলাই আবেদন করেন তিনি। দেশের পক্ষে খেলার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন সাকিব। তার আপিলের ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদ আজ সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার পর সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছেন তিনি। যেজন্য কর্মকর্তাদের সহানুভূতি পাবেন সভায়। দুপুর ২টায় বিসিবি কার্যালয়ে হবে সভাটি। আজকের সভায় সাকিবের ইস্যু ছাড়াও বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ চাম্পিকা গামাগে, জাতীয় দলের সহকারী কোচ রুয়ান কালপাগে ও ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হালসালের নিয়োগ অনুমোদন, জেলা কোচদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি, জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা, ক্রিকেট বর্ষপঞ্জির অনুমোদন এবং এরই মধ্যে যেসব আর্থিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার অনুমোদন দেয়া হবে। আলোকিত বাংলাদেশ।