Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় সরকারি কাজে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাড়ছে

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রয়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন কাজের জন্য ‘অনিয়মিত’ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। দেশের ৩৬৫টি সরকারি ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে গত বছর এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছেন ৬২ হাজার ৯৬২ জন যা ২০০৯ সালের (৫৩ হাজার ২৮০ জন) তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশী। কোরিয়ার সরকার ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন ডাটাবেস আলিও.কম সোমবার এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

99981c84f451732377591bc73947dc6d (Custom)চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব ‘বিশেষায়িত’ কর্মীরা শুধু ‘বিশেষ’ কাজই করেন এমন নয়, অনেক সময় সাধারণ দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্যও তাঁদের ডাক পড়ছে।  এ ধরনের নিয়োগে বাড়তি বোনাসের বালাই যেমন নেই তেমনি কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে চুক্তিও শেষ করে ফেলা যায়। তবে এভাবে কাজ সম্পাদনের বিষয়টিকে শ্রম নিরাপত্তা সুসংহত করতে প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হে’র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

chardike-ad

আলিও’র দেয়া তথ্যমতে গত বছর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংস্থা কোরিয়া ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনে (কেইপিসিও) সবচেয়ে বেশী ৭ হাজার ৭১৭ জন বিশেষায়িত কর্মী কাজ করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১৩০ জন ইনছন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে, ৪ হাজার ৯৭১ জন রাষ্ট্রীয় রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান কোরেলে, কোরিয়া এয়ারপোর্টস কর্পোরেশনে ৩ হাজার ১১৫ জন ও কোরিয়া হাউজিং ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশনে ২ হাজার ৪১৪ জন গতবছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।

বিগত চার বছরে এ ধরনের নিয়োগ সবচেয়ে বেশী কুড়ি শতাংশ বেড়েছে রাষ্ট্রীয় রেল পরিবহণ সংস্থা কোরেলে। এ প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়াদের একটি বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

সরকারের তরফে ২০১৫ সালের মধ্যে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থায়ী করার ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে সে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে বেশ ধীর গতিতেই। আলিও বলছে, এ পর্যন্ত ইনছন এয়ারপোর্টে ৫টি ও কোরিয়া এয়ারপোর্টস কর্পোরেশনে ১৭টি চাকুরী স্থায়ী করা হয়েছে। এছাড়া কোরেল ও কেইপিসিওতে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৩৫৬ জন খণ্ডকালীন কর্মীকে পূর্ণকালীন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বলছিলেন কেন এই ধীরগতি, “অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার কাজটা খুব সহজ নয়। প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও অনেক সময় লাগবে।” কেইপিসিওর একজন মুখপাত্র প্রায় একই সুরে বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়োগ পাকা করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।