
শুরু থেকেই ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেছিল ভারত। অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে তারা প্রমাণ করেছে নিজেদের সামর্থ্য। অন্যদিকে এশিয়া কাপে অন্য দলগুলোর সাথে জিতলেও পাকিস্তানের একমাত্র হার এসেছিল ভারতের কাছেই। তাই শিরোপা জিততে হলে ফাইনালে তাদের করতে হতো রীতিমতো অঘটন।
ফাইনালে সেই আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত পারল না পাকিস্তান। ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয়। এ জয়ে আরেকবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও শেষ ওভারে তিলক ভার্মা ও রিংকু সিংয়ের ঝড়ে জয় নিশ্চিত করে সূর্যকুমার যাদবের দল।
শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১০ রান। হারিস রউফের করা ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন তিলক ও রিংকু। দ্বিতীয় বলেই তিলক ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে নেন ১ রান। চতুর্থ বলেই রিংকু মিড অনের ওপর দিয়ে চার মেরে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে। ৪ বলে ১৩ রান তুলে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত।
তবে ম্যাচের শুরুটা ছিল পাকিস্তানের। বিনা উইকেটে ৮৪ রান তোলে তারা। এক পর্যায়ে ১১৩/১ থেকে বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছিল বাবর আজমের দল। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান করেন ৫৭, ফখর জামান ৪৬ রান। কিন্তু সেখান থেকেই ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। শেষ ৯ উইকেট মাত্র ৩৩ রানে হারিয়ে থামে তাদের সংগ্রহ ১৪৬ রানে। ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব নেন ৪ উইকেট, বুমরা, অক্ষর ও বরুণ প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত পাওয়ারপ্লেতেই চাপে পড়ে যায়। ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৩৬/৩। সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব ও শুবমান গিল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন তিলক ভার্মা। তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ফিফটি। সাঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়েন তিনি। শেষদিকে রিংকু সিংকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে দেন শিরোপা।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও আবরার আহমেদ ভালো বোলিং করলেও ভারতের ব্যাটারদের আটকাতে ব্যর্থ হন। শেষ ওভারে রউফের বাজে বোলিং ভেঙে দেয় পাকিস্তানের শিরোপার স্বপ্ন।
এই জয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল ভারত। এর মধ্যে সাতবার ওয়ানডেতে আর দুবার টি–টোয়েন্টি সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।






































