লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ্ব, মহানবী (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও কটাক্ষ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিক সমাজ। আজ সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এই দাবি জানান। সমাবেশে লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না হলে প্রবাসীদের নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন ‘লতিফ সিদ্দিকী রাসুল (সাঃ)কে অপমান করেছেন। এর শাস্তি ফাঁসি ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা। লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য কোরিয়ার সকল প্রবাসীসহ সারা বিশ্বের বাংলাদেশীরা এক হয়েছে। এই আন্দোলন আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত কিংবা তাবলীগের নয়। এই আন্দোলন রাসুল (সাঃ)কে অপমানকারীর বিরুদ্ধে সকল মুসলমানের আন্দোলন।
বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্য রাখেন আবুবকর সিদ্দিক রানা, ছোটন আহমেদ, ইমাম মমতাজুল হক, মনির হোসাইন, ইমাম আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসাইন, ডঃ মনোয়ার হোসাইন, ইমন আহমেদ, আবু তাহের, মোহাম্মদ আল আমিন, ইমাম মোহাম্মদ হোছাইন, মোহাম্মদ হাসান, হিমেল ফারুক, মোজাম্মেল হক এবং রাসেল।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। তার এই বক্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারা দেশে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬টি মামলাও হয়। এরপরও লতিফ সিদ্দিকী তার এই বক্তব্যে অনড় থাকেন এবং এটি প্রত্যাহার না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কারেরও সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীনরা। পবিত্র মক্কায় হজ পালনরত রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরলেই মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।