Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

একই রিসোর্টে কুখ্যাত সেই তিন মা

Makillers

ব্রিটেনের সাগর তীরের একটি শহরে একই রিসোর্টে বাস করছেন নিজের সন্তান হত্যা ও অপহরণকারি কুখ্যাত সেই তিন মা। সম্প্রতি তাদের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে বলে জানায় মিরর।

chardike-ad

এদের দুইজন ট্র্যাসি কোনলে এবং ম্যাক্সিন ক্যার নিজের শিশুকে হত্যা করেছিলেন। অপর নারী ক্যারেন ম্যাথিউস নিজের মেয়েকে কিডনাপ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। এ অপরাধের দায়ে তিনি কারাগারে গিয়েছিলেন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আদালত তার ওপর গোপন জীবন যাপন করার আদেশ দেন। এ কারণেই সংবাদ মাধ্যমে তাদের রিসোর্টের ঠিকানা প্রকাশ করা হয় নি।

জোড়া খুনি ইয়ান হান্টলের সাবেক প্রেমিকা ৩৮ বছর বয়সি ম্যাক্সিন কার ২০১২ সালে নিজের ১০ বছর বয়সি সন্তান জেসিকাকে হত্যা করেন। এর দায়ে তিনি ২১ মাস কারাবন্দি ছিলেন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর জনরোষের মুখে বাড়ি পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। পরে দীর্ঘদিন তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

৩৭ বছর বয়সি কোনলি তার ১৭ মাস বয়সি সন্তান পিটারকে নির্যাতন করে হত্যা করেন ২০০৭ সালের আগেস্ট। পিটারের শরীরে ৫০টিরও বেশি জখম পাওয়া যায়। সন্তান হত্যার দায়ে ২০০৯ সালে কারাগারে প্রবেশ করেন তিনি। এক বছর আগে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রিসোর্টটির দুই বেডরুমের একটি ফ্যাটে বসবাস শুরু করেন।

৩৯ বছর বয়সি ক্যারেন ম্যাথিউস ২০০৮ সালে তার নিজের মেয়ে শ্যাননোনকে অপহরণ করে ৫০ হাজার ডলার মুক্তিপণ দাবি করেন। এ অপরাধে তার চার বছরের কারাদণ্ড হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পুরোপুরি নিজেকে পাল্টে ফেলেন তিনি। এর আগে থাকতেন পশ্চিম ইয়র্কের ডেসবারিতে। মুক্তি পাওয়ার পর আগের ঠিকানা পাল্টে সেই রিসোর্টটিতেই গিয়ে উঠেন। চুলের কাটিং, পোশাক ও চাল-চলন পরিবর্তন করে ছদ্মনামে সমাজে পরিচিত হতে থাকেন। তবে বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে তাকে আসল নামটি ব্যবহার করতে হতো।

এই তিন কুখ্যাত নারী সন্ত্রাসীর একই শহরে একই রিসোর্টে বসবাস করার বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনার ঝড় বইছে। শহরের এক বাসিন্দা শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি অবিশ্বাস্য এবং উদ্ভট।
কোন উদ্দেশে একসাথে আছেন এরা?

অন্য একজন বলেন, এই তিন কুখ্যাত নারী কি উদ্দেশে একসাথে আছেন, বুঝতে পারছি না। বিষয়টি সরকারের তদন্ত করা উচিত।

তবে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ব্রিটেনের অন্য শহরগুলোর চেয়ে সাগর তীরের এই শহরটিতে জীবন যাত্রার খরচ অনেক কম। এ কারণে এখানে অনেকেই আসেন। এদের মধ্যে কারা সন্ত্রাসী, এটি খুঁজে বের করা কঠিন।

ব্রিটেনের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলো সবসময়ই নেশাখোর, মাতালসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে জানায় ব্রিটিশ সংস্থা সেন্টার ফর সোসাল জাস্টিজ।