Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশী টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগে আগ্রহী জাপান

IMJapanবাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। গতকাল রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ আগ্রহের কথা জানান জাপানের আন্তর্জাতিক জনশক্তি উন্নয়ন সংস্থার (আইএমডিও, জাপান) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজু তুসবোতা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে জাপানে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাপানের দীর্ঘ পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জাপান সহায়তা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

chardike-ad

আইএমডিও জাপানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, জাপানে প্রতি বছর ২ হাজার ৩০০ টেকনিক্যাল ইন্টার্নের চাহিদা রয়েছে, যা বিভিন্ন দেশ থেকে পূরণ করা হয়। বাংলাদেশের কর্মীরাও প্রয়োজনীয় জাপানি ভাষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পাঁচটি মেরিন টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ ৭১টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪৭টি ট্রেডে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জাপানের চাহিদা অনুযায়ী টেকনিক্যাল ইন্টার্নসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী সরবরাহ করা সম্ভব।

কাজু তুসবোতা টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার প্রদানে আশ্বাস দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শাসছুন নাহার, জাপান আইএমডিওর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কুনিকা ইয়োসিদাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে জাপানে কারিগরি প্রশিক্ষণার্থী পাঠানোর জন্য জাপানের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা সংস্থার (জিটকো) সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়। বাংলাদেশ ছাড়া আরো ১৪টি দেশের সঙ্গে জিটকোর এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। জিটকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী জাপানে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিবাসন বা অন্য কোনো খাতের জন্য চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ নেয়ার সুযোগ রিক্রুটিং এজেন্টগুলোর নেই। এছাড়া শুধু দক্ষ শ্রমিকরাই জিটকোর সুবিধা নিতে পারেন। বণিকবার্তা।