Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বজ্রপাতে শেষ গোটা ফুটবল দল!

lightning-imageঅভাবনীয়, অবিশ্বাস্য ব্যাপারই বটে। হঠাৎ করে শুনলে অনেকেই ‘গাঁজাখুরি’ আলাপ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবেন ব্যাপারটাকে। কিন্তু ঘটনাটা যে সত্য, সেটার প্রমাণ মিলছে অনেক জায়গাতেই। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে বজ্রপাত নিভিয়ে দিয়েছিল গোটা একটি ফুটবল দলের জীবন-প্রদীপ। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, এই ভয়ংকর বজ্রপাতে অক্ষত ছিল নিহত ফুটবলারদের গোটা প্রতিপক্ষই।

মাঠে লড়াইয়ে নামা একটি দলের ১১ জনই এই বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করলেও একেবারে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গিয়েছিল অপর দলটি। এ ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বললেও তো কম বলা হয়।

chardike-ad

কঙ্গোর একটি স্থানীয় পত্রিকায় এ সংবাদটি প্রথম ছাপা হয়েছিল। কিনশাসা থেকে প্রকাশিত এল’অ্যাভেনিরে প্রকাশিত এ ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছিল, ‘বজ্রপাত মুহূর্তেই কেড়ে নেয় ১১ জন ফুটবলারের জীবন। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, নিহত ফুটবলারদের সবাই একই দলের।’

পত্রিকাটি আরও জানায়, স্থানীয়রা খেলাটি চলার সময় সফরকারী দলের ওপর বিভিন্ন ধরনের তন্ত্রমন্ত্র প্রয়োগ করছিল। আফ্রিকার অনেক দেশেই ফুটবল ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মন্ত্রতন্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। এসব ব্যাপার স্থানীয় সংস্কৃতিরই অংশ।

এল’অ্যাভেনিরের বরাতে বিবিসি এ-সংক্রান্ত সংবাদটি তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করে ঘটনার অব্যবহিত পরেই। ইনডিপেনডেন্ট ও গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকাও এ খবরটি প্রকাশ করেছে গুরুত্বের সঙ্গেই। তবে সব পত্রিকাই এল’অ্যাভেনিরের কথা উল্লেখ করেই সংবাদটি প্রকাশ করে।

ঘটনাটির বিবরণে বলা হয়, কঙ্গোর কাশাই প্রদেশে স্থানীয় একটি ফুটবল দলের সঙ্গে আয়োজিত এই ম্যাচে সফরকারী দল এই বজ্রপাত-দুর্ঘটনার শিকার হয়। ম্যাচ চলাকালেই আচমকা বজ্রপাতে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের সব খেলোয়াড়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এই বজ্রপাতে স্থানীয় দলের কোনো খেলোয়াড়ের শরীরেই ফুলের টোকাটি পর্যন্ত পড়েনি।

আটানব্বই সালে এ ঘটনাটি ঘটার সময় কঙ্গোতে চলছিল রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ।