মজবুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় শ্রম ব্যয় বাড়ছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়বে, মজুরি প্রবৃদ্ধির এ হার চীনের চেয়েও বেশি। খবর নিক্কেই।
ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় আগামী বছর সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ২০ শতাংশের বেশি বেড়ে ২২৫ ডলার হবে, যা বেইজিং ও চীনের শিল্পাঞ্চল গুয়াংঝুর শ্রমব্যয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ। ২০১০ সালের পর থেকে চীনের অনেক শহরেই মজুরি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় জাপানসহ অনেক বিদেশী কোম্পানি ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ নামে বিশেষ কৌশল নেয়। যার অংশ হিসেবে চীন থেকে কিছু উত্পাদন কার্যক্রম তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে শ্রমব্যয় চীনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। এক্ষেত্রে এসব কোম্পানির অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
কিন্তু সম্প্রতি অবস্থায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে মজুরি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে চীনের চেয়েও দ্রুত। ২০১০ সালের তুলনায় আগামী বছর ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়বে যথাক্রমে ১৬০ ও ১৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে মাত্র দুই বছর আগের তুলনায় কম্বোডিয়ায় মজুরি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মজুরির হার এখনো চীনের অর্ধেক। কিন্তু এসব দেশে যদি মজুরি প্রবৃদ্ধির বর্তমান হার অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে চীনের সমপর্যায়ে পৌঁছে যাবে তারা। মূলত, এসব দেশে মজবুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে সরকারের ওপর মজুরি বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।