Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

rubelচিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির ধর্ষণ মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালত এ নির্দেশ দেন। এর আগে সকালে আদলতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রুবেল।

chardike-ad

সদ্য ঘোষিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলের স্কোয়াডে জাতীয় এই ক্রিকেটারের নাম রয়েছে।

এ মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুবেলকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন দেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর নাজনিন আক্তার হ্যাপি মিরপুর থানায় গিয়ে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। রুবেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে দাবি করেন হ্যাপি। গত আট-নয় মাস ধরে রুবেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি বিভিন্ন সময় হ্যাপিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু হ্যাপি যখনই বিয়ের জন্য চাপ দিতেন তখন রুবেল টালবাহানা করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রুবেল হ্যাপির গায়ে হাত তোলেন।

হ্যাপির মামলার পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরই মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর রুবেল হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান। ১১ দিন পর গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশের হাতে ফরেনসিক প্রতিবেদনের কপি তুলে দেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অ্ধ্যাপক হাবীবুজ্জামান চৌধুরী।

ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় ওইদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। তবে মিরপুর থানার ওসি তদন্ত মামলার নোটটি সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। সেই নোটে লেখা ছিল, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’

গত ২৮ ডিসেম্বর এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটি শেষে থানায় যোগদান শেষে পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ওই রিপোর্টে হ্যাপির একাধিক শারীরিক সম্পর্কের কথা লেখা ছিল না। একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে যা ফরেনসিক প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্টায় লেখা রয়েছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা লেখা ছিল না।

এরই মধ্যে হ্যাপির করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রুবেলের জব্দ করা আলামতগুলোর ক্যামিক্যাল পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।