রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাঠের পুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। পেট্রলবোমার আগুনে দগ্ধ হয়েছেন ৩০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আংশকাজনক বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডাক্তারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রফেসর সাজ্জাত খন্দকার জানান, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আংশাজনক। তাদের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া বাকি ২১ জনের শরীরের ২০ থেকে ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দ্রুত বাস থেকে বের হতে গিয়ে অনেকেরই হাত পা ভেঙ্গে গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন। অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হবে।
দগ্ধরা হলেন- জয়নাল আবেদীন, ইসতিয়াক মো. বাবর, সালাউদ্দিন পলাশ, সালমান, নাজমুল হোসেন, মো. শরীফ. মো. রাশেদ, শাহিদা আক্তার, তার স্বামী ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মো. হৃদয়, ওসমান গনি, মোহাম্মদ খোকন, মো. মোমেন, মো. হারিছ ও নূর আলম। তবে বাকিদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে আহতরা হলেন- তাকবির ইসলাম, আফরোজা আক্তার।
যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্লোরী পরিবহনের গাড়িটি গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত করে। শুক্রবার রাতে গাড়িটি যাত্রাবাড়ী থানার কাঠের পুল এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেট্রোবোমা ছুঁড়ে মারলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ৩০ জন যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধ ও আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।