বহুল ব্যবহৃত আইফোনের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার ব্যবসায় এরই মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। বাকি ছিল শুধু নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিনের। হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম ও ব্রাউজারের পর এবার সার্চ সেবা নিয়ে শুরু হচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও গুগলের লড়াই। খবর ইংগ্যাজেট ও কাল্ট অব ম্যাক।
অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারে কোন সার্চ ইঞ্জিন ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার হবে, তা নিয়েই মূলত শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রতিষ্ঠানটির এ ব্রাউজারে দীর্ঘদিন ধরেই গুগল সার্চ ইঞ্জিন ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে এ বছরই অ্যাপল ও গুগলের মধ্যকার এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ফলে সাফারি ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য মাইক্রোসফট ও ইয়াহুর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন। কিন্তু প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট কাল্ট অব ম্যাক অ্যাপল জবসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য লোক নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপল। ‘অ্যাপল সার্চ’ নামে নিজস্ব সার্চ প্লাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে এ বিষয়ে দক্ষ প্রকৌশলী চাওয়া হয়েছে অ্যাপলের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
স্মার্টফোন নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে অ্যাপল ও গুগলের মধ্যে আগের সুসম্পর্ক এখন আর নেই। পরস্পরকে সবক্ষেত্রেই ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। সার্চ বা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গুগল যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছে; অ্যাপল সেই পথে যাবে না, তা কী হয়? প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, শিগগিরই গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে অ্যাপল।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নিয়ে চলার পরিবর্তে অ্যাপল নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির পথেই হাঁটবে। কারণ ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হলে সার্চ বা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যাপক এগিয়ে থাকা সম্ভব। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে বাদ দিয়ে ইয়াহুকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন করায় ইয়াহুর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ওই অঞ্চলে।