Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশীয় গণমাধ্যম, ইটিভি এবং আব্দুস সালাম

আব্দুস সালামের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে। আমি তখন সবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। তখনো পর্যন্ত কোন টকশোতে যাইনি এবং মিডিয়ার জগৎ সম্পর্কে ওতোটা ওয়াকিফহালও নই। বঙ্গবন্ধু কনভেনশন হলের ছোট্র একটি কামরায় ৩০/৪০ জন শীর্ষ ব্যবসায়ীর সঙ্গে একটি মত বিনিময় সভা। সম্ভবত বাংলাদেশ -মায়ানমার অথবা বাংলাদেশ ভূটান চেম্বারের অনুষ্ঠান ছিলো সেটি। আমি সালাম সাহেবের নাম ধাম জানতাম এবং আরো জানতাম যে তিনি আমাদের দলীয় লোক এবং নেত্রীর সঙ্গে ভালো খাতির। কাজেই পাশাপাশি বসে আমরা অতি অল্পক্ষনের মধ্যেই খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলাম। তিনি অবলীলায় তার দুঃখের কথা এবং একুশে টিভি নিয়ে মর্মান্তিক সংগ্রামের সময় আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর সঙ্গে একান্ত আলাপ চারিতার কথা বললেন। এই ঘটনার পর সালাম সাহেবের সঙ্গে বহুবার দেখা হয়েছে এবং প্রতিবারই মনে হয়েছে তিনি মিডিয়া রাজনীতির কবলে পড়ে আওয়ামীলীগ এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে বহু দূরে চলে যাচ্ছেন।

আমার ভয় হলো- তিনি হয়তো বিপদে পড়বেন ঠিক আমারই মতন। কারণ আগবাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট গিয়ে নিজের কষ্ট, অপমান এবং অসুবিধার কথা বলার অভ্যাস যেমন তার নেই তেমনি ক্ষমতার শীর্ষের চারিদিকের দেয়াল টপকানোর কৌশলও তিনি হয়তো জানেন না। ফলে শেষমেষ যা হবার তাই হলো- একুশে টিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জেলে গেলেন। একুশে টিভিসহ আরো ৩টি টিভি বর্তমান সরকারের রোষানলে পড়েছে। প্রথমে চ্যানেল ওয়ান তারপর দিগন্ত, ইসলামিক টিভি এবং সবশেষে ইটিভি। প্রথম ৩টি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং শেষটি বন্ধ করা না হলেও এক দূর্বিসহ অপমানজনক অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে- এর চেয়ে বন্ধ করে দিলেই হয়তো ভালো হতো। টিভি অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার পাশা পাশি একটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আব্দুস সালামের মতো পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও কারাবন্দী হয়ে আছেন বহুকাল ধরে।

chardike-ad

roniবিএনপি পন্থী সাংবাদিক এক্ষং দলটির নেতাকর্মীরা মাঝে মধ্যে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে দেশবাসীকে মাহমুদুর রহমানের অস্তিত্ব স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু বেচারা আব্দুস সালামের হয়েছে মরণদশা। কেউ তার নাম মুখে আনছেনা পাছে প্রধানমন্ত্রী যদি রাগ করে বসেন! যে কোন দেশের সরকারের জন্য জাতীয় গণমাধ্যমসমূহ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আজকের উত্তাপ ছড়ানো রাজপথ এবং অনিশ্চিত রাজনীতির গতিপথের প্রান্ত সীমায় দাঁড়ানো সরকারী কর্তাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কাজগুলো কি ভালো হয়েছিলো ? তারা যে যাই বলুক না কেনো- আমি বলবো একদম ঠিক হয়নি। কেনো ঠিক হয়নি সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলার পূর্বে বলে নেই সরকারী দলের বা সরকারের অভ্যন্তরের ভেতরকার কিছু কাহিনী। ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে যেকোন রাজনৈতিক নেতা একজন সাধারণ রিপোর্টার বা মফঃস্বল সংবাদ দাতাকে ফেরেশতার মতো সমীহ করে। কিন্তু ক্ষমতা লাভের পর সেই লোকটিই রাতারাতি পাল্টে গিয়ে পুরো গণ মাধ্যমকেই তার তল্পিবাহক মনে করতে থাকে। এর অবশ্য কিছু যৌক্তিক কারণও রয়েছে। কিছু কিছু মিডিয়া মালিক এবং বয়োজেষ্ঠ সংবাদকর্মী ক্ষমতাসীনদের পদ লেহন করার জন্য এমন ভাবে তাদের দরজায় বসে থাকে যা প্রকৃতির কোন প্রভুভক্ত প্রানীও করে না। ফলে এই সেক্টরের অতি স্বল্প সংখ্যক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ সম্পর্কে চিন্তা করার ফুরসৎ ক্ষমতাসীনরা পায় না। অথবা প্রয়োজন অনুভব করে না।

গত প্রায় ৩০টি বছর ধরে আমি সংবাদপত্র এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। কাজ করেছি রিপোর্টার হিসেবে-আবার কখনো সহ সম্পাদক বা বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে। কিছুদিন সম্পাদক ছিলাম এবং মালিক হিসেবে পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। এর বাইরে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, টকশোর অতিথি এবং কলাম লেখক হিসেবে ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্নভাবে পুরো মিডিয়াকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় বড় আঘাত গুলো এসেছিলো মিডিয়া থেকে। অনুরুপভাবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি গুলোও এসেছিলো মিডিয়া থেকে। নিজের সম্পর্কে এতোটুকু বলার অর্থ হলো- অন্যসব রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি বা কলাম লিখকের মতো আমি এই জগৎ সম্পর্কে কেবল খন্ডিত ধারণা পোষন করি না। আমার ধারণা বাস্তব সম্মত এবং জীবন থেকে জীবন্ত ইতিহাসের মতো।

আমার মতে- পুরো মিডিয়ার জগৎ হলো একটি চলন্ত এবং দুরন্ত পাগলা ঘোড়ার মতো। এর পিঠে চড়ে বেশীক্ষন বসে থাকা যায় না। আবার লাগাম ধরে পাগলা ঘোড়াটিকে বশেও আনা সম্ভব নয়। বড়জোর রাগ করে ঘোড়াটিকে মেরে ফেলা যায়। কোন মালিক, কোন সম্পাদক কিংবা কোন পরিচালনা পরিষদ আজ অবধি কোন সংবাদপত্র বা টেলিভিশন পরিপূর্ণভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেনি। বরং নিয়ন্ত্রনের চেষ্টার ফলে সব সময় হিতে বিপরীত হয়েছে। সরকারীদলের বা সরকারের যেসব লোক মিডিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সম্পর্কে হাল নাগাদ ওয়াকিফহাল নন। এমনকি তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে কিনা একজন নামকরা সাংবাদিক হিসেবে দু’চারটে কলাম লিখে দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছেন কিংবা একজন সফল সম্পাদক হিসেবে কোন একটি জনপ্রিয় পত্রিকা দীর্ঘদিন পরিচালনা করেছেন! যেসব টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেগুলোতে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের বেশির ভাগই অন্যকোন স্টেশনে গিয়ে নতুনভাবে চাকুরী নিয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা তাদের মনোবেদনার সকল ভান্ডার উজার করে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই বিষোদগার করছে। ফলে কট্ররপন্থী এবং একান্ত লেজুরবৃত্তি করা বিটিভি মার্কা বেসরকারী টেলিভিশনের একটি প্রগ্রামে হয়তো সরকারের পক্ষে নিলর্জ্জ পক্ষ পাতিত্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে- অন্যদিকে দশটা প্রগ্রামে কর্তৃপক্ষের অজান্তে মহা বাঁশ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে জনগণের যা বোঝার তা ঠিকই বুঝছে- আর সরকারী পন্ডিতরা মহা সুখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।

সরকার যদি গণ মাধ্যমের সার্বজনিন স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারতো এবং এসব মাধ্যমে প্রকাশিত অপ্রিয় কথাগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতো তবে আখেরে সরকারের জন্য মহাকল্যাণ হতে পারতো। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে একেবারে উল্টোটা। সরকার প্রথমতঃ মিডিয়া রাজনীতির একাংশের লোকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত মিডিয়ার মেধাহীন এবং নাচন কুদন সর্বশ্ব লোকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। টিভি মালিকদের একটি সংগঠন আছে। এটি মূলতঃ নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান যাকে কাগুজে বাঘ বললেও কম বলা হবে। এই সংগঠনের সদস্যরা বলতে সবাই নানামুখী ব্যবসার সাথে জড়িত। নিজেদের মান মর্যাদা এবং খেয়ালখুশির বিনোদনের জন্য তারা এই ভূবনে পা বাড়ান। চরম বাস্তবতা এবং নিজেদের টিভিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তারা প্রায়ই বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞাপনের রেইট, অনুষ্ঠান, সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে সীমাহীন প্রতিযোগীতা করে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য নতুন ফ্যাসাদ হলো টি আর পি। একটি টিভি কিংবা টিভি অনুষ্ঠান কতজন লোক দেখলো তা নিরুপন করে একটি কোম্পানী এবং সেই কোম্পানীর জরীপ বা টি আর পি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দাতারা টিভি স্টেশন গুলোতে বিজ্ঞাপন দেয় এবং বিজ্ঞাপনের রেইট নির্ধারণ করে। মূলতঃ টি আর পি জরিপে এগিয়ে থাকার জন্যই টিভিগুলো টকশো, রোড শো, ক্রাইম রিপোর্ট, ইসলামী সওয়াল জওয়াবের

মতো বাহারী অনুষ্ঠানমালা চালু করে। কোন একটি অনুষ্ঠান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে গেলে প্রতিদ্বন্দীরা সরকারের কান ভারী করতে শুরু করে সেই অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং টিভি মালিকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সরকারের মেধাহীন কর্তারা মুহুর্তের মধ্যেই মিডিয়া রাজনীতির প্রপাগান্ডায় গা ভাসিয়ে দিয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং হালুম বলে রন হুঙ্কার দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর বাইরে অন্য ঘটনাও আছে । কিছু মালিক সকাল সন্ধায় সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের দরবারে হাজিরা দেন । তাদের টুকটাক প্রয়োজন এবং মনোস্কামনার খোঁজ খবর নেন। অন্যরা যখন একই কর্ম করতে না পারেন তখন স্পষ্টতই বিষয়টিকে বেয়াদবী এবং স্পর্ধার বিষয় হিসেবে ধরে নিয়ে বলা হয়- ওকে বলে দিও- আমি কিন্তু মাইন্ড করেছি।

আমার আন্দাজ মতে একুশের রাত এবং জনতার কথা নামক জনপ্রিয় দুটি অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার ঘনিষ্ঠ লোকদের ভীষন আপত্তি ছিলো বহুদিন থেকে। সালাম সাহেব কোনদিনই সেইসব আপত্তি শোনেননি। আসলে শোনার প্রয়োজন অনুভব করেননি অতিরিক্ত আত্ম বিশ্বাসের কারণে। তার ধারণা ছিলো- স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যেহেতু তার ব্যক্তিগত জানা শোনা সেহেতু তার কার্যালয়ের অধঃস্তন কর্তাদেরকে পাত্তা না দিলেও চলবে। এভাবেই সমস্যার শুরু- যা পরবর্তীতে গ্রেফতার পর্যন্ত গড়ায়। দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি কিংবা চ্যানেল ওয়ান নিয়ে সরকারকে এক ধরণের সমালোচনা ভোগ করতে হয়। অন্যদিকে, একুশে টিভি নিয়ে সমালোচনাটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকের হয়। কারণ টিভিটির জন্ম, বেড়ে ওঠা, মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুনঃ প্রচার সব কিছুর সঙ্গেই আওয়ামীলীগের একটি নৈতিক যোগাযোগ ছিলো। সকলের একই কথা- সালাম সাহেবকে প্রধানমন্ত্রী ডেকে সরাসরি নির্দেশ দিলেই তো চলতো। টিভিগুলো বন্ধ হবার কারণে মালিকপক্ষ এবং সংবাদ কর্মীদের ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চয়ই হয়েছে এবং তারা তা কাটিয়েও উঠতে পারবেন। কিন্তু আওয়ামীলীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হলো তা কোনদিন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। প্রতিটি টিভিরই ২/৪ টা করে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানমালা ছিলো যা কিনা দলমত নির্বিশেষে সকলেই উপভোগ করতেন । যেমন- ইসলামিক টিভির ডাঃ জাকির নায়েকের অনুষ্ঠান, দিগন্ত টিভির ইসলামী সওয়াল জবাব ইত্যাদি। টিভি গুলো বন্ধ হবার কারণে ঐ ধরণের অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত হয়ে কোটি কোটি দর্শক কিন্তু সরকারকেই দোষ দিচ্ছেন। তারা হয়তো টিভি গুলো বন্ধ হবার নেপথ্য কাহিনী জানেন না কিংবা জানতেও চান না। সরকারের প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি শ্রদ্ধা দেখানো নেতাকর্মী, আমলা কামলা এবং গণমাধ্যম কর্মীদের জন্যই কিন্তু সরকার বার বার বিভ্রান্ত হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতেও হবে।

সরকারের একটি বিষয় ধর্তব্যের মধ্যে এনে বিবেচনা করা উচিত যে, ভিক্ষুকের হাত কোন দিন কর্মীর হাত হয় না। যারা সকাল বিকাল করুনা, দয়া এবং স্বার্থের ধান্দায় সরকারের নিকট হাত পাতে সেই হাত কোনদিন সরকারের প্রয়োজনে কাজে লাগবে না। অন্যদিকে, সবাই যদি তল্পিবাহক হয়ে যায় তবে দর্পন হবে কারা! কিছু অতি উৎসাহী কর্তা ব্যক্তির জন্য আজ দেশের জাতীয় গণমাধ্যমগুলো ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটময় মুহুর্ত অতিক্রম করছে। অথচ এমনটি হবার কথা ছিলো না। সরকারের সার্বিক কর্মকান্ড যেমন মেধা দীপ্তময় উপস্থাপনায় পরিবেশন করা যায় তেমনি ত্রুটিগুলোও লুকিয়ে ফেলা সম্ভব। আর এই কাজের জন্য দরকার দক্ষ, অভিজ্ঞ, শিক্ষিত নেতৃত্বগুন সম্পন্ন সৎ ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম কর্মীর। সরকার যদি তাদেরকে খুঁজে পেতো তাহলে কোন টিভিই বন্ধ করতে হতো না কিংবা সালাম সাহেবদেরকে গ্রেফতার করার দরকার পড়তো না। আমি কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি- আল্লাহ যেনো সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সুমতি দান করেন। তারা যেনো দেশের গনতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহনের পাশাপাশি ইতিবাচক ভূমিকা পালনের তৌফিক প্রাপ্ত হন। তারা যেনো ধৈর্য্যহারা না হয়ে গণতন্ত্রমনা হতে পারেন এবং কথায় কথায় নিজেদের কুয়্যাত প্রদর্শনের জন্য একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ না করেন কিংবা ভিন্ন মতের মানুষজনকে জেলে না ঢোকান। তারা যেনো হেদায়েত প্রাপ্ত হন এবং নিজেদের কৃত ভুল থেকে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারেন। তাদের দ্বারা ইতিমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সেই সব লোকের ক্ষতি পুষিয়ে দেবার মতি যেনো কর্তা ব্যক্তিরা ফিরে পান।