Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা

KAMARUZAMANমানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ পরোয়ানা জারি করেন।

chardike-ad

দুপুর ২টায় ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আফতাবুজ্জামান লাল কাপড়ে মোড়ানো কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পৌাঁছান। কারাগারে মৃত্যু পরোয়ানা পৌঁছানোর বার্তা কিছুক্ষণের মধ্যে কামারুজ্জামানকে জানানো হবে বলে রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী।

এদিকে, কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জমা দেওয়ার পর পরোয়ানার আরেকটি কপি আইজিপির কাছে পৌঁছে দিতে রওনা হন ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার।

প্রচলিত আইনে ফৌজদারি কার্যবিধি ও জেল কোডের বিধান অনুযায়ী আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জেল কোডের বিধান অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য আসামিকে সাতদিনের সময় দেওয়া হয়। এই সাতদিন সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি যদি ফাঁসি কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ বা দণ্ড মওকুফ বা হ্রাস না করেন তাহলে কারা কর্তৃপক্ষকে ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হয়। কিন্তু প্রচলিত ফৌজদারি আইন ও জেল কোডের বিধান যুদ্ধাপরাধের দণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেননা আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ ট্রাইব্যুনালস (আইন) ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন। প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ আইনের চেয়ে বিশেষ আইন প্রাধান্য পাবে। ওই আইনের ২০ (৩) ধারায় বলা আছে, ‘এই আইনের অধীন প্রদত্ত দণ্ড কার্যকর হইবে সরকারের আদেশাবলী অনুযায়ী।’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন যেদিনই নাকচ করবেন সেদিন থেকে যেকোন দিন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে যেদিন রায়ের কপি জেল কর্তৃপক্ষের হস্তগত হবে সেদিন থেকে সাতদিন পর ফাঁসি কার্যকর করা যাবে।