১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসেছিল বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর। সেবার ইমরান খানের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এরপর পাচঁটি বিশ্বকাপ কেটে গেলেও ট্রফি আর ঘরে তোলা হয়নি তাদের।
এবার সেই দুই দেশেই বসেছে ক্রিকেট মহাযজ্ঞের ১১তম আসর। তাই পাক দলপতি মিসবাহ-উল-হকের চোখে-মুখে রাঙিয়ে ওঠার কথা পূর্বসূরী ইমরান খানদের সুখস্মৃতি। কিন্তু সেই সুখস্মৃতি চোখের আয়নায় আসা তো দূরের কথা, সংবাদ সম্মেলনে ‘অসহায়’ দলনেতার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মিসবাহকে।
কেননা চলমান বিশ্বকাপে তাদের শুরুটা হয়েছে একদম বাজেভাবে। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৭৬ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। এরপর ক্রাইস্টচার্চে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে পরাস্ত হয় ৯২’এর চ্যাম্পিয়নরা।
দল জিতলে সেরা পারফর্মারকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয়। কিন্তু দল হারলে সব দায়ভার কাঁধে নিয়ে উপস্থিত হতে হয় দলীয় অধিনায়ককে! সে নিয়ম মেনেই বোধ হয় ক্যারিবিয়ানদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। সেখানে তার চোখের কোণে ছিল হতাশার ছাপ। কেননা টানা দুই ম্যাচে হেরে তার দল রয়েছে খাদের কিনারায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এমন লজ্জাজনক হারের জন্য দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দায়ী করলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এদিন নাকি তাদের বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং সবকটি বিভাগই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ বিষয়ে মিসবাহর ভাষ্য, ‘সত্য কথা বলতে কি, আমরা তিনটি বিভাগেই ক্যারিবিয়ানদের কাছে হেরে গেছি। আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস করেছি। আর ব্যাটিং তো পুরোটাই ফ্লপ (ব্যর্থ)। যে কোনো ম্যাচে আপনাকে একজন ব্যাটসম্যান, বোলার ও ফিল্ডার হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটি দল হিসেবে এগুলো আমাদের মাথায় রাখা দরকার। পাশাপাশি নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেওয়া উচিত।’
এদিকে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে নিউজিল্যান্ডে যায় পাকিস্তান। সেখানে কিউইদের বিপক্ষে দুটি একদিনের ম্যাচও খেলে মিসবাহ-উল-হকের দল। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় তারা।
এসবও নাকি আয়োজকদের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়! এ বিষয়টি ফুটে উঠেছে মিসবাহর ভাষ্যেও, ‘এখানকার (নিউজিল্যান্ডের) কন্ডিশনের সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে! এমন খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কোনো কোচ দায়ী নন। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা। সমষ্টিগত পারফরম্যান্সের অভাব। আমরা কোনো একজনকে দায়ী করতে পারছি না যে সে একাই খারাপ খেলছে।’