Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জব্বারের আমৃত্যু কারাদণ্ড

JOBBARমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সংসদ সদস্য পিরোজপুরের পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারকে বয়স বিবেচনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

chardike-ad

আদালত বলেন, আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে আনীত পাঁচটি অভিযোগের সব কটিই প্রমাণিত হয়েছে। সে অনুসারে ৮০ বছর বয়সি জব্বারের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। তবে তার বয়স বিবেচনায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মোট ১৪১ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ আদালতে পাঠ করেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক, দ্বিতীয় অংশ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রায়ের মূল অংশ চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম পাঠ করে শোনান।

এটি ট্রাইব্যুনাল-১-এর অষ্টম রায়। ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধ মামলায় পলাতক অবস্থায় চতুর্থ রায় এটি।

এর আগে পলাতক থাকা অবস্থায় আবুল কালাম আজাদ, চৌধুরী মঈনুদ্দিন-আশরাফুজ্জামান, খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে এদের প্রত্যেককেই ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল- মালুম, মোহাম্মদ আলী, তুরিন আফরোজ, জাহিদ ইমাম, রেজিয়া সুলতানা চমন উপস্থিত ছিলেন।

জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শেষ ও ২৪তম সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ করার মধ্য দিয়ে গত ১৭ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

জব্বারের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে ৮ জুলাই ট্রাইব্যুনালের এক আদেশে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জব্বারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির হননি জব্বার। এ জন্য তাকে পলাতক ঘোষণা করা হলো।

এরপর আইনজীবী আবুল হাসানকে জব্বারের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্ট্যাট ডিফেন্স) আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।

গত বছরের ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।