প্রত্যেকের জন্যই ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ঘুম যদি কোনো কারণে ব্যাহত হয় তবে ধীরে ধীরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকেই আছেন যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধ, পানি পান কিংবা উষ্ম পানিতে গোসল করেন। কিন্তু তা সত্বেও মাঝেমধ্যেই তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ক্রামপেক্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রতি বছর ঘুমের ওষুধ কেনার জন্য ১০ মিলিয়ন ব্যবস্থাপত্র শুধু ইংল্যান্ডেই লেখা হয় এবং প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন।
জেনে নিন ঘুমের সমস্যা সমাধানের ৮ প্রাকৃতিক উপায়:
বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে নিশ্বাস নিন
যোগব্যায়াম শুধু ব্লাড প্রেসার কমাতেই ভূমিকা রাখে না, একইসাথে নিজেকে শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে নিশ্বাস নেওয়া এমন একটি যোগব্যায়াম যা ঘুমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। যখন ঘুম আসবে না তখন ডান নাক বন্ধ রেখে ধীরে ধীরে বাম নাক দিয়ে নি:শ্বাস নিন। এভাবে প্রতিরাতে করলে সহজেই ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দিন
কাজ শেষে শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দিলে আস্তে আস্তেই ঘুম আসে। চাইলে এ সময় কারও কাছ থেকে মাথা কিংবা পাও টিপে নিতে পারেন। এতে আপনার শ্বাস সোজা প্রবাহিত হবে। ফলে শরীরও ঘুমের জন্য প্রস্তুত হবে। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে ধীরে ধীরে ঘুমের সমস্যা দূর হবে।
জেগে থাকার চেষ্টা করুন
নিজের সঙ্গেই জাগ্রত থাকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন যাতে মন বিদ্রোহী হয়। এই কৌশলটাকে ঘুম প্যারাডক্স বলা হয়। যেমন চোখকে বড় করে খুলে রাখুন। নিজেই পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন আমি ঘুমাব না। তখন ব্রেন এটাকে নেগেটিভভাবে নেবে এবং ঘুমানোর নির্দেশনা দেবে। একটা সময় আস্তে আস্তে দেখবেন ঠিকই ঘুম চলে আসবে।
চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলুন
ঘুমের সমস্যা সমাধানে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুমের জন্য সারাদিন যা ঘটছে তার মধ্য থেকে উদ্বেগের বিষয়গুলো মন থেকে একেবারেই মুছে ফেলুন। শুধু তাই নয়, এসময় অন্যের কথোপকথোন শোনা থেকেও বিরত থাকুন। এটাই আপনাকে ঘুমের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করবে।
চোখ ঘুরানো
ঘুমের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চোখ ঘুরানো। এজন্য চোখ বন্ধ করার পর চোখের বলকে ৩ বার ঘুরান। এটি ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে তার কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করবে। এতে ধীরে ধীরে ঘুম এসে যাবে।
ভিজ্যুয়াল চিন্তা করুন
বিছানায় গিয়ে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল চিন্তা যেমন আপনি ফুলের বাগানে হাঁটছেন, পানিতে হাঁটছেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন। এগুলো ভাবলে দ্রুতই আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। একটা সময় ধীরে ধীরে ঘুম চলে আসবে।
ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন
প্রতি রাতে ঘুমানোর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। অনেকে আছেন যারা দিনের বেলা পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে রাতে একেবারেই ঘুমাতে পারেন না। তাই ঘুমের সময় নির্ধারণ করাটা অত্যন্ত জরুরী। তবে কেউ যদি দুপুরে ঘুমাতে চান সেক্ষেত্রে এমনভাবে ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন; যাতে রাতে ঘুমের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
টেনশন মুক্ত থাকুন
রাতে ঘুমাতে চাইলে টেনশন মুক্ত থাকুন। কারণ এটি মানুষের সব কিছুকে নষ্ট করে দেয়। তাই ঘুমের সমস্যা দূর করতে যতদূর সম্ভব টেনশন এড়িয়ে চলাই ভালো।