Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ্বিগুণ হবে স্বর্ণের দাম!

goldচীন ও ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানুষের সম্পদ দিন দিন বাড়ছে। ফলে তাদের স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে পণ্যটির দামও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ স্বর্ণের দাম আউন্স প্রতি (১ আউন্স= ২.৪৩০৫ ভরি) ২ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে; যা বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে ১ হাজার ৩০০ ডলার বেশি। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হতে পারে।

chardike-ad

এটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান কিটকো গোল্ডের গত বছরের দেওয়া পূর্বাভাসের প্রায় বিপরীত। প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য মাত্র এক বছরের জন্য ওই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্স প্রতি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার।

তেমনটি হলে এই সময়ে এসে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম দ্বিগুণ হতে পারে। অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বর্তমানে ভরি প্রতি সাড়ে ৪৪ হাজারের স্বর্ণ কিনতে হতে পারে প্রায় ৯০ হাজার বা তার বেশি টাকায়।

এক গবেষণায় সম্প্রতি এই পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপ লিমিটেড (এএনজেট)।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে স্বর্ণের দামের ব্যাপারে এক পূর্বাভাস দেয় মার্কিন সংস্থা কিটকো গোল্ড। সেখানে তারা জানায়, চলতি বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হতে পারে। আর সে কারণে স্বর্ণের দাম কমতে পারে। সেই হিসাবে ডলার ও টাকার বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে পণ্যটির দাম ভরিতে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে ঠেকতে পারে ৩২ হাজার টাকায়। যদিও তা এখনো হয়নি।

গবেষক দলের সদস্য, সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়ারেন হোগান বলেন, এশিয়ায় সম্পদের বৃদ্ধি স্বর্ণের বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এ অঞ্চলে যেহেতু মানুষের আয় বাড়ছে, সেহেতু তাদের স্বর্ণ-অলংকারের চাহিদা বেড়ে যাবে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও পেশাজীবী শ্রেণির মানুষের মধ্যে এই চাহিদাটা তৈরি হবে বেশি। এছাড়া আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের মুদ্রা সংশ্লিষ্ট স্বার্থ রক্ষায় অধিক স্বর্ণ কিনে রাখবে।

মূলত এসব কারণে আগামীতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে উল্লম্ফন ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।

এএনজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পূর্বাভাস- চীন, ভারত, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে স্বর্ণের চাহিদা দ্বিগুণ হতে পারে।

বর্তমানে এসব দেশে স্বর্ণের চাহিদা আছে ২ হাজার ৫০০ টন। আগামী ১৫ বছরে এই চাহিদা গিয়ে ৫ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয় এএনজেট।

তথ্যসূত্র: অস্ট্রেলিয়ান ডট কম।