Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

একনজরে কামারুজ্জামান

kamruzzamanমুহাম্মদ কামারুজ্জামান। জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যার মৃত্যদণ্ড বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আর তা কার্যকরও হবে যে কোনো সময়।

১৯৫২ সালের ৪ জুলাই শেরপুরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের মুদিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন কামারুজ্জামান। কুমরী কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে ভর্তি হন শেরপুর জিকেএম ইনস্টিটিউশনে। ১৯৬৭ সালে সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

chardike-ad

১৯৭৩ (১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত) সালে ঢাকা আইডিয়াল কলেজ থেকে ডিস্ট্রিংশনসহ বিএ এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৮০ সালে তিনি বাংলা মাসিক ‘ঢাকা ডাইজেস্ট’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮১ সালে দেয়া হয় সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলা’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব। এছাড়া ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রামের। আর সেই সুবাধে ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যও। এছাড়া ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন তিনি।

ছাত্রসংঘে কামারুজ্জামান:
১৯৬৭ সালে শেরপুর জিকেএম ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সমর্থক হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন কামারুজ্জামান। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে কেন্দ্রের নির্দেশে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রসংঘের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন ইসলামী ছাত্রসংঘের নিখিল পাকিস্তানের সভাপতি ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ছিলেন প্রাদেশিক (পূর্ব পাকিস্তান) ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ছাত্রসংঘের ৪৭ নেতাকে নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন কামারুজ্জামান।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এ বাহিনী সে সময় ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইলে ব্যাপক মাত্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটায়। জামালপুরে আলবদর বাহিনীর সাতটি ক্যাম্পের মধ্যে শেরপুরে সুরেন্দ্র সাহার বাড়ি দখল করে বানানো ক্যাম্পের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কামারুজ্জামান। সে সময় বহু মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হয় ওই ক্যাম্পে।

শিবিরের নেতৃত্বে কামারুজ্জামান:
স্বাধীনতার পর প্রথমে ছাত্র শিবিরের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি এবং পরে সেক্রেটারি মনোনীত হন কামারুজ্জামান। ১৯৭৮ সালের ১৯ এপ্রিল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং একমাস পরই নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮-৭৯ সালেও শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন তিনি।

জামায়াতের নেতৃত্বে কামারুজ্জামান:
১৯৭৯ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন কামারুজ্জামান। এরপর ১৯৮১-৮২ সালে ঢাকা মহানগর জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আর সবশেষ ১৯৯২ সালে তাকে দেয়া হয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব। এছাড়া দলের নির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। এমনকি বেশ কয়েকবার দলের হয়ে সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন এই জামায়াত নেতা।