Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এমআরপি না হলে বিকল্প ব্যবস্থা

passportনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) না পৌঁছাতে পারলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইআরআইএস এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সংক্রান্ত প্রকল্পটির কাজ করছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) অধিবাসী কর্মীদের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সংক্রান্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কমিটির এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

chardike-ad

এসময় আইআরআইএস’র কাজে কোনো অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে জানা গেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রবাসী কল্যাণ সচিব, বহিঃগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতদরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে খন্দকার মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আইআরআইএস’র কাজে তেমন অগ্রগতি নেই। তারা যদি সময়মতো কাজ সম্পন্ন করতে না পারে, তবে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনও ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ লাখ প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছানো বাকি রয়েছে।

প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন জানিয়ে বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাকে (আইকাও) বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর হাতে লেখা পাসপোর্টের যুগ শেষ হচ্ছে। এরপর আর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। ফলে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে এমআরপি থাকবে না, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদেরকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাতে এ প্রক্রিয়াতে পিছিয়ে না পড়ে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্তত ৯৫ ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া যায়, এজন্য পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকে ওয়ার্ক প্রোগ্রাম ও মনিটরিং কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

আইকাও’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ নভেম্বরের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ কিংবা বিদেশে অবস্থান করা যাবে না। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এমআরপি না পৌঁছালে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিরা।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে মাত্র ২৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।