Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হৃদয়কে হুঁশিয়ারি দিলেন সুজানা

hridoy-sujana

সাড়ে তিন বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালের ১ আগস্ট সুজানার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খান। এটি ছিল দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের সাত মাস পর পরই হৃদয় খানের এই সংসারও ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের পর হৃদয় খান নানা ধরনের আপত্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুজানা। আর এ কারণে হৃদয় খানের মুঠোফোনে এসএমএস পাঠিয়ে অপপ্রচার বন্ধের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সুজানা।

chardike-ad

হৃদয়ের মুঠোফোনে এসএমএসে সুজানা লেখেন, ‘মানুষের কাছে যেয়ে যেয়ে এবং ফোন করে আমাকে নিয়ে মিথ্যা এবং বাজে অপবাদ দেওয়া তোমার বন্ধ করা উচিত। না হলে আমি অন্য অ্যাকশন নিতে বাধ্য হব। আমি চাই তুমি ভালো থাকো এবং প্লিজ গেম খেলো না আর।’

হৃদয়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে সুজানা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমি হৃদয়কে এসএমএস দিয়ে সতর্ক করেছি। এরপরও সে যদি অপপ্রচার বন্ধ না করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। প্রায় চার বছর ধরে আমি হৃদয়কে চিনি। আমার বিশ্বাস, তাঁর পক্ষে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না।

এটাও ঠিক যে, হৃদয়ের মাধ্যমেই অপপ্রচারগুলো চারিদিকে ছড়াচ্ছে। তাই দিন শেষে এর দায়ভার হৃদয়কেই নিতে হবে। আমার ধারণা, অন্য কারও ইন্ধনে আমাকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে হৃদয়। আমি এটা অনেকটাই নিশ্চিত।’

সুজানা এও বলেন, ‘মানলাম হৃদয়ের কোনো দোষ নেই। কিন্তু কেন সে সব মিডিয়ার মুখোমুখি হতে চাচ্ছে না! তার কি সেই সৎ সাহস নেই? আমি তো কোনো মিডিয়ার কাছে কোনো কিছুই আড়াল করছি না। সে কোনো লুকোচুরি খেলছে। ফেসবুকে আবার ভিডিও বার্তাও দিচ্ছে। বলছে, সে নাকি আমাকে অনেক ভালোবাসে।

তাঁর এ ধরনের কথাবার্তা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই না। আমি সবার মাধ্যমে তাকে এও বলতে চাই, তার যদি আমাকে নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে, সরাসরি আমার সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারে। অযথা বাইরের লোকের কানকথা শুনে ঝামেলা না পাকিয়ে আমার সঙ্গে বসেই সমস্যার সমাধান করলেই হৃদয়ের জন্য ভালো হবে।’

এদিকে পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে হৃদয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোন ও খুদে বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি ।

২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তাঁর সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস।