বলুন তো ক্রিকেটে এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কে? নিশ্চয়ই হেসে ফেলেছেন। পৃথিবীর সহজতম প্রশ্নগুলোর মধ্যে এটি এখন একটি। অস্ট্রেলিয়া। তাহলে রানার্স আপ? এটাও দারুণ সোজা, নিউজিল্যান্ড। আচ্ছা বলুন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলটির নাম।তবে উত্তরটা খুব কঠিন কিছু নয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই দখল করে রেখেছে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর আসনটি।
আচ্ছা এবার বলুন তো আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান কত তম? এটা আসলেই বেশ কঠিন একটা প্রশ্ন। উত্তরটা জানলে তো ভালোই, না জানলেও চিন্তার কিছু নেই। বলেই দিচ্ছি, দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান এখন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয়।
বার বার এ রকম প্রশ্নে এতক্ষণে হয়তো খানিকটা বিরক্তই হয়েছেন। তবে প্রশ্নগুলো নেহাতই কোনো বিচ্ছিন্ন আগ্রহ থেকে করা হয়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের একটা বেশ ভালো খবর দিতেই করানো হলো এই সামান্য অনুশীলনটা। ভালো খবরটি হলো, এ বছর ওয়ানডে ম্যাচ জয়-পরাজয় অনুপাতের হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই আছে বাংলাদেশের নাম।
জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়ানো ৯টি ওয়ানডের মধ্যে ৬টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আছে হোম সিরিজে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার ম্যাচগুলোও। মাশরাফি-সাকিবদের জয়-পরাজয়ের অনুপাত ২.০। এই লড়াইয়ে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকা ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত ১২টি ওয়ানডে খেলে জিতেছে ৭টিতে। জয়-পরাজয়ে তাদের অনুপাত ১.৭৫।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এই তালিকাতেও প্রথম। ১৩টি ওয়ানডে খেলে তারা জিতেছে ১১টিতে, হেরেছে ১টি। জয়-পরাজয়ে তাদের অনুপাত ১১। ৪.৬৬ অনুপাত নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের পরেই আছে রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড।
১৮টি ম্যাচ খেলে তারা জিতেছে ১৪টি, হার ৩টিতে। তালিকার সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে আছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (০.৮৫), ইংল্যান্ড (০.৫৭), পাকিস্তান (০.৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০.৫)। পাকিস্তান এ বছর ১২টি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র ৪টিতে, হেরেছে ৮টি।
আগামী বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে র্যাঙ্কিংয়ের আটে ওঠাটা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের এ বছরের ধারাবাহিকতা কিন্তু শোনাচ্ছে আশারই গান।