Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইন্দোনেশিয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

Indonesia
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনের ছবি

মাদক চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত আট জনের মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকর করেছে ইন্দোনেশিয়া। তারা অস্ট্রেলিয়া, নাইজেরিয়া্, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

বুধবার ভোরে নুসাকামবাগানের বেসি কারাগারে ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক চেন ও মেইয়ুরান সুকুমারান রয়েছেন। এই দণ্ড কার্যকর করার পর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের একেবারেই শেষ মিনিটে মাদক চোরাচালানে অভিযুক্ত ফিলিপাইনের এক নারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

chardike-ad

ইন্দোনেশিয়ান সরকার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর প্রকাশ করেছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিদেশিদের শাস্তি কার্যকর স্থগিত করার জন্য বাইরের দেশের চাপ থাকলেও তা নাকচ করে দেয় জাকার্তা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলীয় এই দুই নাগরিকের মৃত্যু কার্যকর করার প্রতিবাদে দেশটির প্রধান মন্ত্রী টনি অ্যাবোট বলেছেন, এই মৃত্যু ছিল ‘নৃশংস ও অপ্রয়োজনীয়।’

ব্রাজিলের এক নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্রাজিলের সরকার একটি বিবৃতিতে বলেছেন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা হবে একটা ‘মারাত্মক আঘাত’।

ইন্দোনেশিয়ার বিদেশিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তবে, একই দণ্ড পাওয়া ৯ নম্বর আসামি, যিনি ফিলিপাইনের এক নারী, তার মৃত্যুদণ্ডটি শেষ মুহূর্তে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের অনুরোধ মেরি জেন ভেলোসো নামের সেই নারীর দণ্ড স্থগিত করা হয়। মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়ার বিষয়টিকে মেরি জেইনের মা একটি ‘অলৌকিক ঘটনা’ হিসবে বর্ণনা করেছেন।

২০০৫ সালে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন এই নয়জন। এই মামলা ‘বালি নাইন’ নামে পরিচিতি। ২০০৬ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলেও তা কার্যকরে বিভিন্ন কারণে পিছিয়েছে জাকার্তা সরকার।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, সিএনএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া।