Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে’ খেলার সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের

championstrophy২০১৭ সালের ১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ক্রিকেটের জন্মভূমি ‘ইংল্যান্ড’-এ অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বিশ্বকাপের পর এটি আইসিসি আয়োজিত দ্বিতীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্টে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের সেরা আট দল অংশগ্রহণ করে। বর্তমান র‌্যাংকিং অনুযায়ী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জোর সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। র‌্যাংকিংয়ে বর্তমানে ৮৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আটে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‌্যাংকিংয়ে আটে থাকতে পারলেই ২০০৬ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান (৮৭), আয়ারল্যান্ড (৫০) ও জিম্বাবুয়ে (৪৫)। জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের র‌্যাংকিংয়ে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু সেই সম্ভাবনা অনেকটা ক্ষীণ।

chardike-ad

পাকিস্তানকে হোম সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে টপকে র‌্যাংকিংয়ে আটে উঠে আসে বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাতে ওঠাও সম্ভব বাংলাদেশের। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (রেটিং পয়েন্ট ৮৮) চেয়ে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে খেলা না থাকায় বাংলাদেশ সাতে উঠে যেতে পারবে।

ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। দুই দলের বিপক্ষে একটি করে মোট দুটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতে নিলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত বাংলাদেশের। কারণ ভারতের ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি করে ওয়ানডে জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্টে যোগ হবে যথাক্রমে ৫ ও ৬ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে তখন রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৯। পেছনে ফেলবে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে বাংলাদেশ ছয়টি ম্যাচের কোনোটিতে না জিতলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আশা থাকবে । এ সময়ে পাকিস্তান আটটি ওয়ানডে খেলবে। যেকোনো দুটি ম্যাচ হারলেই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান ওয়ানডে খেলবে আটটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে ঘরের মাঠে। যদিও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর এখনো পেন্ডুলামে ঝুলে আছে। সফর না হলে পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ পাঁচটি। আর যদি তারা জিম্বাবুয়ে সফর করে, তাতেও সমস্যা নেই বাংলাদেশের।

পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে হবে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে যা পাকিস্তানের জন্য কষ্টসাধ্য। সমীকরণ আরো আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান একটি ম্যাচ হারলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট পাবে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা জোরালো বাংলাদেশের। এখন ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করলেই নিশ্চিন্তে ৯ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার জন্য নাম ওঠাবেন টাইগাররা।