Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মাত্র ৭ হাজারেই মিলছে লাখ টাকা!

fack-takaঈদকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জাল টাকার ছড়াছড়ি। বাসা ভাড়া করে চলছে এই কাজ। রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরির মূলহোতা আব্দুর রহিম শেখসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- জালনোট তৈরি চক্রের হোতা রহিম শেখ (৩৫), তার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা (২৪), দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিনা খাতুন (১৯), তার কর্মচারী মো. আসাদ (২২) ও মো. তাজিম হোসেন (২৬)।

chardike-ad

শনিবার দিনগত গভীর রাতে বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রবিবার দুপুরে র‌্যাবের হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মুফতি মাহমুদ খান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানিয়েছে, সারা দেশেই এদের জাল বিস্তৃত। এরা সাধারণত পাঁচশ ও হাজার টাকার জালনোট তৈরি করছে। আসল টাকার মতো এদের টাকা হুবহু মিল না থাকায় প্রতি এক লাখ টাকার একটি বান্ডেল ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যস্ততম এলাকাসহ সীমান্ত এলাকায় এসব টাকার প্রচলন হয় বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটকৃতদের কাছ থেকে ১১টি জালটাকা তৈরির স্ক্রিন, তিনটি বোর্ড, দুটি বিশেষ ডট কালার প্রিন্টার, দুটি ল্যাপটপ, জালটাকার ভিতরে ব্যবহৃত নিরাপত্তা সুতার ফয়েল চার রোল, জলছাপে ব্যবহৃত আইপি প্রিন্টিং কালি দুই কৌটা, প্রিন্টারের কার্টিজ ২০০টি, রেডোসার ক্যামিকেল এক বোতল, জালটাকা তৈরির কাগজ ৮ রিম, একটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটিং মেশিন এবং দুটি জালটাকা তৈরির কাটিং গ্লাস উদ্ধার করা হয়।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, রহিম শেখ ২০০৩ সালে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় আসে। এরপর তার সঙ্গে পরিচয় হয় জালটাকা তৈরিচক্রের অন্যতম হোতা হুমায়নের। তার কাছ থেকে জালটাকা তৈরির পদ্ধতি শেখেন রহিম। এরপর এ কাজে তিনি দুই স্ত্রীকে নিয়োগ করেন। প্রায়ই গ্রামের বাড়ি থেকে মহিলাদের নিয়ে এসে তাদের এ কাজে লাগাতেন রহিম।