লক্ষ্যটা ছিল ৩৭৭ রান। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছিল পাকিস্তান। তবে শান মাসুদ ও ইউনিস খানের জোড়া সেঞ্চুরিতে পাল্লেকেলে টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল। সিরিজের তৃতীয় এই টেস্টে ৭ উইকেটের জয়ে রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান।
টেস্টে ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এটা ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আর পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। উপমহাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এবং শ্রীলঙ্কায় সর্বোচ্চ। এর আগে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১৫ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। সেটা অবশ্য ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
পাল্লেকেলে টেস্ট জিতে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৭৮ রান। জবাবে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ২১৫ রানেই। ৬৩ রানে এগিয়ে থেকে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩১৩ রান সংগ্রহ করে। ফলে পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৭৭ রান। স্কোরবোর্ডে এই রান দেখে হয়তো শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়ের স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু অস্বস্তির জন্ম দেন ইউনিস খান ও শান মাসুদ। তাদের রেকর্ড রানের জুটিতে (২৪২) ভর করে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড জয় তুলে নিয়েছে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান।
২ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৪৭ রান। ইউনিস খান ১০১ ও শান মাসুদ ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ১২২ রানে আউট হন মাসুদ। এরপর অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইউনিস খান। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১৭১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ২৭৮ (করুণারত্মে ১৩০ ও ইয়াসির ৫/৭৮) ও ৩১৩ (ম্যাথুস ১২২ ও ইমরান ৫/৫৮)।
পাকিস্তান : ২১৫ (সরফরাজ ৭৮ ও ৩/৩৭) ও ৩৮২ (ইউনিস ১৭১* ও মাসুদ ১২৫)।
ফল : পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ইউনিস খান।
সুত্রঃ রাইজিংবিডি