খেলা হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা। সকাল থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অলস সময় পার করছিলেন হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে। সকালে নাস্তা খাওয়ার পর লবিতে আড্ডা। ১০টার পর সেই আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর ক্রিকেটারদের কাছে খবর যায়, চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়ররা।
আগের থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল, স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের বিবি আয়েশা (রা.) জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু ক্রিকেটারদের জন্যে দুপুর সোয়া ১টার পরিবর্তে সোয়া ২টায় নামাজের ব্যবস্থা করে মসজিদ কমিটি।
দুদিন আগে ক্রিকেটাররা জুমার নামাজ আদায়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ চলবে বলে ম্যাচ রেফারি নামাজের অনুমতি দেননি। ওই সময়ের পরিবর্তে চা-বিরতির সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার অনুমতি দেন ম্যাচ রেফারি ।
পরে বিসিবির পক্ষ থেকে মসজিদ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ক্রিকেটারদের কথা বিবেচনা করে মসজিদ কমিটি মুসুল্লিদের সঙ্গে কথা বলে সোয়া ১টার পরিবর্তে সোয়া ২টায় নামাজের ব্যবস্থা করে।
দুপুর ১টায় হোটেল ছেড়ে দেড়টায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন ক্রিকেটাররা। ব্যাট-প্যাড রেখে মসজিদে চলে যান তারা। জুমার নামাজ আদায়ের পর আবারো স্টেডিয়ামে এসে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেন। এরপর মুশফিক, রিয়াদ ও সাকিবরা একাডেমিতে ব্যাটিং অনুশীলন করেন। সঙ্গে ছিলেন শহীদ, ইমরুল ও লিখনরা। জিমেও সময় দিয়েছেন কয়েকজন ক্রিকেটার। তবে বেশিক্ষণ স্টেডিয়ামে থাকেননি তারা। ঘন্টাখানেক সময় দেওয়ার পর আবার হোটেলে ফিরে যান।
স্কোয়াডে থাকা ১৪ ক্রিকেটাররের মধ্যে ১০ ক্রিকেটার মাঠে আসেন। তারা হলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ শহীদ, তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন লিখন ও মুস্তাফিজুর রহমান। হোটেলে অলস সময় কাটিয়েছেন নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, সৌম্য সরকার ও লিটন কুমার দাস।