Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উ. কোরিয়ায় ভোর ৫টা থেকে অফিস-স্কুল-কলেজ!!

kim‘তুঘলকি’তে মহম্মদ বিন তুঘলককেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন কিম জং। স্বেচ্ছাচারিতার চূড়ান্ত বললেও কম বলা হয়। যখন যা মনে করেন, নির্দেশ দিয়ে দেন। এ বার যেমন ‘ওয়ার্কিং আওয়ার’ই শুরু করে দিয়েছেন ভোর পাঁচটায়! কিমের নির্দেশ বলে কথা, অন্যথা হওয়ার উপায় নেই। তাই চোখ ডলতে ডলতেই কর্মস্থলে বা স্কুলে। অতঃপর ঘুমে ঢুলুঢুলু। যে উদ্দেশে কিমের এই নির্দেশ, তা কতটা সিদ্ধি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তবু তো তিনি কিম, অতএব, এসব প্রশ্ন তুলে কে আর নিজের বিপদ ডেকে আনতে চান! যেমন চলছে চলুক, ‘স্পিকটি নট’ই বুদ্ধিমানের কাজ।

উত্তর কোরিয়ায় এখন তাপপ্রবাহ চলছে। তাই কিম-সরকারের নির্দেশ, ভোর পাঁচটাতেই দিন শুরু করতে হবে। মানে অফিস টাইমও ভোর পাঁচটায়, স্কুল শুরুও পাঁচটায়। যাতে তীব্র দাবদাহ এড়ানো যায়। উদ্দেশ্য যে ভালো, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ভোর ভোর অফিস হলে, দাবদাহের হাত থেকে শুধু রক্ষাই নয়, সূর্যের তেজ তখন কম থাকায়, কাজকর্মও ভালো হবে।

chardike-ad

কিন্তু, কিমের এই নির্দেশে হিতে বিপরীত হয়েছে। কারখানায় উত্‍‌পাদন বাড়া তো দূরে থাক, ঘুমের ঘোর না-কাটায় অত সকালে এসে লোকজন কাজ করতে পারছেন না। অত ভোরে উঠে স্কুলে আসতে সমস্যা হচ্ছে স্কুলপড়ুয়াদেরও। কারণ ৫টায় স্কুলে আসতে হলে, ঘুম থেকে উঠতে হবে অন্তত সাড়ে তিনটেয়। ফলে, তাদেরও স্কুল কামাই হচ্ছে।

শুধু স্কুল বা অফিস নয়। রেস্তোরাঁগুলোও খুলতে হচ্ছে সকাল সকাল। ফলে, বন্ধও করতে হচ্ছে তাড়াতাড়ি। মানে, বেলা একটার মধ্যেই হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ। এর পর কারও খিদে পেলে, তাঁর আর কিছু করার নেই।

একমাস ধরে চলবে ‘সম্বক’, মানে উত্তর কোরিয়ার এই গ্রীষ্ম। ফলে, কিম-নির্দেশ অসহ্য মনে হলেও, জো হুজুর করে আরও একটা মাস সহ্য করতেই হবে। তা বাজুক ঘুমের বারোটা, পাঁচটাই সই!