Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চলচ্চিত্রে আর দেখা যাবে না মুনমুনকে

munmunঢালিউডের অ্যাকশন কুইন খ্যাত চিত্রনায়িকা মুনমুন। একসময় ঢাকাই চলচ্চিত্রে রূপ আর সাহসিকতার গুণে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। টারজান কন্যা, মৃত্যুর মুখে, রাজা, মরণ কামড়, রানী ডাকাত, আজকের সন্ত্রাসীসহ অসংখ্য সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। তবে তাকে আর কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন মুনমুন।

কেন চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুনমুন বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের দেখাশুনা আমাকেই করতে হয়। ওদের পড়াশোনার জন্য পুরো সময়টা ওদের দিতে হচ্ছে। এখন শুধু আমার দুই সন্তান নিয়েই ব্যস্ত আছি। এ ছাড়া নিজের বিজনেস নিয়েও ব্যস্ততা বেড়েছে।’

chardike-ad

তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এ জন্য দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কয়েকদিন আগেও দুটি সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম কিন্তু আমি না করে দিয়েছি।’

২০১৪ সালে সর্বশেষ কুমারী মা শিরোনামের সিনেমায় দেখা যায় মুনমুনকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেন বাবুল রেজা। মাঝে বেশ কিছুটা সময় এক রকম অন্তরালেই ছিলেন তিনি। তবে এ বছরের মে মাসের মাঝামাঝিতে তিনি কাজ শুরু করেছেন সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র কাসার থালায় রুপালি চাঁদ সিনেমাটিতে। এ সিনেমার কাজ কিছুটা বাকি আছে। তবে এ সিনেমার কাজ শেষ করবেন তিনি।

আলোচিত এ অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের পাশাপাশি স্টেজ শোতেও কাজ করতেন। তবে এখন থেকে তাকে আর স্টেজ শোতেও দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, ‘দর্শক আমাকে কতটা ভালোবাসে তা আমি স্টেজ শোতে পারফর্ম করতে গিয়ে ফিল করতাম। তবে এখন থেকে আর স্টেজ শোতেও পারফর্ম করব না।’

১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্রের ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত মৌমাছি সিনেমায় প্রথম কাজ করেন তিনি। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। বর্তমান সময়ের দেশ সেরা নায়ক শাকিব খানের প্রথম ব্যবসা সফল সিনেমার নায়িকাও ছিলেন মুনমুন। সিনেমাটির নাম বিষে ভরা নাগীন।

বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে মুনমুনকে নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। তবুও নিন্দুকের কথার তীরকে তিনি কখনই তোয়াক্কা করেননি। সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছেন নিজের তৈরী পথে। এ পর্যন্ত তার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৮১, যার বেশির ভাগই ছিল সুপারহিট।

মুনমুনের জন্ম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে। বাবার চাকুরির সুবাদে সাত বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। এর পর তার পরিবার ঢাকায় ফিরে এলে এই নগরীতেই বেড়ে উঠেন তিনি। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। এলাকায় তাদের বাড়িটি সুপরিচিত ‘মীর বাড়ি’ নামে। এখন দুই সন্তানের জননী মুনমুন। বড় ছেলে সালমানের বয়স ১০। ছোট ছেলে ছালাম আহম্মেদের বয়স তিন বছর।(রাইজিংবিডি)