Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গোসল না করেই এক যুগ!

scienticstগোসল না করেই এক যুগ কাটিয়েছেন এক বিজ্ঞানী। গরমকালে ঘোড়া কেনো ধুলোয় গড়াগড়ি খায়, এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই বিনা গোসলের এই পথ বেছে নেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, গবেষণার স্বার্থেই গোসল না করে এক যুগেরও বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন এমআইটি’র এই বিজ্ঞানী ডেভ হোয়াইটলক। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল, গরমকালে ঘোড়া কেনো ধুলোয় গড়াগড়ি খায় এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই বিনা গোসলে জীবন কাটানোর এই পথ তিনি বেছে নেন। এই বিজ্ঞানী দাবি করে বলেছেন, গোসল না করার মধ্যদিয়ে কল্যাণকর ব্যাকেটেরিয়াকে নিজ ত্বকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।

chardike-ad

গোসল না করে তার বদলে রাসায়নিক প্রকৌশলী ডেভ হোয়াইটলক ‘মাদার ডার্ট’ নামের ব্যাকটেরিয়া মিশ্রিত উপাদান দেহে স্প্রে করেন দিনে দুই দফা করে। স্প্রে ক্যাম্ব্রিজ ভিত্তিক কোম্পানি এওবাইওমেইন এটি তৈরি করে। এই কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতাই হলেন এই বিজ্ঞানী হোয়াইটলক।

হোয়াইটলক বলেন, গত ১২ বছরেরে বেশি সময় ধরে একবারও গোসল করেননি তিনি। দৈনিক গোসল করা নিয়ে এই পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল কোনো গবেষণা হয়নি বলে জানান হোয়াইটলক। তিনি আরও বলেন, গোসল করা যে স্বাস্থ্যসম্মত তা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত করা হয়েছে তা কারও জানা নেই।

গোসল না করে জীবন কাটানোর কথা কেনো তার মাথায় এলো এমন এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইটলক বলেন, ঘোড়ারা গরমকালে কেনো ধুলোয় গড়াগড়ি খায় তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার এক বান্ধবী। ধুলোবালিতে উপকারী কিছু রয়েছে বলেই ঘোড়ারা এরকম আচরণ করেন বলে জানান হোয়াইটলক।

অপরদিকে হোয়াইটলকের এক সহযোগী দাবি করে বলেছেন, মানুষের দেহে ধুলোবালি লাগারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ছোট বেলায় আমরা যতো সময় বাইরে ধুলোবালিতে কাটাই, বড় হয়ে আর তা করি না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার সঙ্গে সঙ্গে দেহকে সব ধরণের জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টিও এক করে দেখা হয়। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক অণু জীবের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন হোয়াইটলকের ওই সহযোগী। তাদের এই ব্যতিক্রমি গবেষণার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমেও ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে।