ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে রোববার টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৬ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের! ভারতের পেসার বরুণ অ্যারোনের তোপে টপ অর্ডাররা ফ্লপ।
এরপরই নাটকীয় পরিবর্তন। সাব্বির রহমান একাই বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নেন। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রেখেছেন সীমিত ওভারের স্পেশালিস্ট এই ব্যাটসম্যান। শুধু সেঞ্চুরি করেই থামেননি। তার অপরাজিত ১২২ রানে ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
সাব্বিরের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন নাসির হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাব্বির ও শুভাগত। দুজন ১৩২ রান যোগ করেন। শুভাগত হোম অর্ধশত রান তুলে নিয়ে ৬২ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে সাব্বির তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন ১১৫ বলে। এ সময়ে ১৮টি চার ও ১টি ছক্কা হাকান তিনি।
এর আগে ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মাত্র ৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল।
স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য সরকার। ডানহাতি পেসার বরুণ অ্যারোনের বলে উইকেটরক্ষক নোমান ওঝার হাতে ক্যাচ দেন ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা সৌম্য। একই ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক মুমিনুল হককে একই ভাবে আউট করেন অ্যারোন।
তৃতীয় ওভারে ওপেনার এনামুল হকের উইকেট তুলে নেন ঈশ্বর পান্ডে। ষষ্ঠ ওভারে সফরকারী শিবিরে আবারো আঘাত করেন অ্যারোন। ফর্মে থাকা লিটন কুমার দাস রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের ফিরে যান।
পঞ্চম উইকেটে জুটি বাধেন নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান রুম্মান। দলের স্কোরকে ৫০ এ নিয়ে যান এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তাদের জুটি। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন নাসির। ২৮ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে মিঠুনের শিকার হন নাসির।
ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন সাব্বির রহমান ও শুভাগত হোম। দুজন স্বাভাবিক ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি ভারতীয় বোলারদের বেশ দাপটের সঙ্গে হ্যান্ডেল করেন। তবে ১৮২ রানে বরুণ অ্যারোনের চতুর্থ শিকারে পরিণত হতে হয় শুভাগতকে। ৯৫ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করেন ময়মনসিংহের এই ব্যাটসম্যান।
ব্যাঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয়েছে। এর আগে ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এছাড়া মাইসোরে কর্ণটকের বিপক্ষে একটি তিনদিনের ম্যাচে চার উইকেটে পরাজিত হয় সফরকারীরা।