Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে হতাশ কোরিয়ার শিক্ষার্থী, অভিভাবক এমনকি শিক্ষকরাও

অনলাইন প্রতিবেদক, ১৬ মে ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক বর্তমান ফলাফল নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি তারা শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে ব্যক্তিত্বনির্ভর করে তোলারও দাবী জানিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ১,০৫৫ জন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী এবং ৫৪২ জন অভিভাবকের উপর চালানো এই জরিপে ৫৯.৩ শতাংশ অভিভাবক ও ৪৯.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশুনাটাকে ‘যন্ত্রণা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ২৪.৭ শতাংশ ও অভিভাবকদের মাত্র ৮.৪ শতাংশ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
다운로드
কোরিয়া ফেডারেশন অব টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৪ এপ্রিল থেকে ২ সপ্তাহব্যাপী এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

chardike-ad

নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনার সুযোগ পাওয়া-না পাওয়াকে সমাজে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয় উল্লেখ করে এটিকে অনেক বড় চাপ এবং হতাশার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যথাক্রমে ৩৬.৯ ও ৩৩.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার দ্বিতীয় প্রধান ত্রুটি হিসেবে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত করেছেন পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে। তবে অভিভাবকরা বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অত্যধিক খরচ এবং অস্থিতিশীল শিক্ষানীতিকে।

একই জরিপে ১,২৬৯ জন শিক্ষকের ৩৮.৬ শতাংশ শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৩৫.৫ শতাংশ শিক্ষক হতাশার কারণ হিসেবে বলছেন যে তারা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারছেন না।

এই সমস্যার আশু সমাধান হিসেবে বেশীরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক বলছেন প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতি ঢেলে সাজাতে। এ লক্ষ্যে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকার একযোগে কাজ করলে শ্রেণীকক্ষের মনমরা পরিবেশ কেটে গিয়ে আনন্দঘন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যান ইয়াং-অক।