Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকোলেট, পিৎজা আসক্তি তৈরি করে

পৃথিবীতে যত ধরনের খাবার আছে, তার মধ্যে চকোলেট ও পিত্জা সবচেয়ে বেশি আসক্তি তৈরি করে। সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের অস্বাভাবিকতা ও আসক্তির সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ও কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নিউইয়র্ক ওবেসিটি রিসার্চ সেন্টারের একদল গবেষক একই ধরনের কিছু খাবারের ওপর গবেষণা করে, যেগুলো আসক্তি তৈরি করে। তারা ৩৫টি ভিন্ন পদের খাবার নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের স্নাতক পর্যায়ের ১২০ জন ছাত্র ও ৪০০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের ওপর গবেষণা চালান। গবেষক দলটি আসক্তি পরিমাপের জন্য ইয়েল ফুড অ্যাডিকশন স্কেল ব্যবহার করে। প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ও মনোবিজ্ঞানী অ্যাশলে গিয়ারহার্ট এ স্কেল প্রণয়ন করেছেন।

chardike-ad

টেক টাইমসের মতে, খাদ্যাসক্তির তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চকোলেট। এর পর পর্যায়ক্রমে রয়েছে আইসক্রিম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিত্জা ও কুকি। এছাড়া তালিকায় প্রথম ২০টির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে চিজ, বেকন, প্রিজেল, ফ্রায়েড চিকেন, সোডা ও কেকের মতো লোভনীয় সব খাবার।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্লাইকেমিক লোড বাড়িয়ে দেয়। অর্থাত্ এসব খাবার খেলে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া এ ধরনের খাদ্যে অপ্রক্রিয়াজাত খাদ্যের তুলনায় স্নেহের পরিমাণও বেশি থাকে।

গবেষকরা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে এমন পার্থক্যকারী উপাদান থাকে, যার ফলে আসক্তির মতো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।’

গবেষকরা প্রক্রিয়াকরণ বলতে বুঝিয়েছেন খাবারে স্নেহ ও সাদা চিনির মতো পরিশোধিত শর্করা যোগ করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পপি ততক্ষণ আসক্তি তৈরি করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এটি পরিশোধন হয়ে আফিমে পরিণত না হচ্ছে। আঙ্গুরকে ওয়াইনে পরিণত না করলে তা আসক্তি তৈরি করবে না।

খাবারে আসক্তি হলো খাওয়ার পরিমাণের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা। কতটুকু খেতে হবে, কখন খাওয়া বন্ধ করতে হবে অথবা নেতিবাচক প্রভাব জানা সত্ত্বেও খেয়ে যাওয়া— এসবই আসক্তির লক্ষণ।

গবেষকরা আরো দেখতে পেয়েছেন, মাদকাসক্তির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সক্রিয় অংশটি খাবারে আসক্তির ক্ষেত্রেও কাজ করে। বণিকবার্তা।