বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর জঙ্গিদের হামলার তথ্য ছিল পাঁচ দেশের গোয়েন্দাদের কাছে। এ তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে তারা জানিয়েছিল। শুক্রবার মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ‘ফাইভ আইজ’ জোটের দেশগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দেয়। বাংলাদেশে সফর সতর্কতা হালনাগাদ করে অস্ট্রেলিয়া।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত মাসে মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে তথ্য আছে যে, বাংলাদেশ সীমান্তে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীরা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর ঠিকই হামলা হয়। এক ইতালীয় এবং একজন জাপানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর গত শনিবার শিয়া মুসলমানদের এক জমায়েতে হামলার ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব হামলার দায়িত্ব আইএস স্বীকার করে আইএস। ওইসব মিডিয়া জঙ্গিরা ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘটনা প্রবাহের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সন্দেহ আর স্পষ্ট সংশয় নিয়ে।
বিদেশি দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের সতর্কতা জানালেও বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, আইএসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। তারা স্পষ্টতই বিবেচনায় নিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র অতীতেও ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য প্রচার করেছে। যেমনটা হয়েছিল ইরাক অভিযানের সময়। শেখ হাসিনা বরং এসব ঘটনাকে তার সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় বিরোধী নেতাদের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি গত বুধবার বলেছেন, দুই একটা বোমা মেরে কিংবা পাঁচটি ডিম ছুঁড়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না।