Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সীতাকুণ্ডে পুলিশের গুলিতে জামায়াত নেতা নিহত

osmangoni
মোঃ ওসমান গনি

সীতাকুণ্ডে পুলিশের গুলিতে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত জামায়াত নেতার নাম মোঃ ওসমান গনি (২৮)। তিনি উপজেলার ৫ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমত নগর গ্রামের মোঃ আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াতের অর্থ সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে এভাবে মানুষ মারার ঘটনা নিজ চোখে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রহমত নগর গ্রামসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছেন।

chardike-ad

নিহত ওসমানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জামায়াত নেতা ওসমানের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। সম্প্রতি তিনি আদালত থেকে সবকটি মামলায় জামিন নিয়ে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করে পরিবারকে দেখভাল করছিলেন।

ওসমানের পিতা আবুল কাশেম মোল্লা জানান, এদিন ওসমান পারিবারিক কিছু কাজ শেষ করে রান্নাঘরে দুপুরের ভাত খেতে বসেন। এসময় সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই ইকবালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তিনি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের পিছন দিকে বের হয়ে দৌড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আরো জানান, এসময় পুলিশ তাকে দাঁড়ানোর অনুরোধ অথবা ধরার কোনো চেষ্টা না করেই পিছন দিক থেকে গুলি করে। পুলিশের ছোড়া গুলি ওসমানের পিঠেবিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলেই পড়ে গিয়ে ছটফট করেতে থাকেন। তখন পুলিশ গুলি করে দিয়েই সাথে সাথেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এলাকাবাসী তখন ওসমানকে উদ্ধার করে হাসপাতল নেয়ায় উদ্যোগ নেয়। তবে তিনি পথেই মারা যান। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্ত্রের জন্য চমেক হাসপতালে পাঠিয়েছেন।

প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে এভাবে মানুষ মারার ঘটনা নিজ চোখে দেখেতে পেয়ে গ্রামবাসী হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছেলেকে হারিয়ে মা খোরশেদ জাহান বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। সদাহাস্যেজ্জ্বল ও পরোপকারী ও নিরাপরাধ ব্যক্তিটিকে হারিয়ে সবাই নির্বাক ও বাকরুদ্ধ। নিহত ওসমানেরা ৬ ভাই ও ৬ বোন। তিনি ছিলেন ভাই বোনদের মধ্যে চতুর্থ।

এদিকে পুলিশ গুলি করে জামায়াত নেতা ওসমানকে মেরে ফেলার খবর জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।

এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হাসান বলেন, জামায়াত নেতা ওসমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে তার আত্মীয় স্বজনরা বাধা দিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করলে অসাবধানবশত এক কনষ্টেবলের শর্টগান থেকে গুলি বেরিয়ে পড়ে। এতে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।(নয়াদিগন্ত)